রাইজিংসিলেট- রাজধানীর রমনায় ‘বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন-এর ৬১তম কনভেনশন’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১১ মে) সকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে উপস্থিত হয়ে দেশের নানা উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয়ের বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি দেশের রাস্তা তৈরিতে বেশি খচর হওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন সরকার প্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের মাটি নরম, যেটাকে দো-আঁশ মাটি বলা হয়। এর ওপর টেকসই কিছু করতে হলে আগে মাটিটাকে তৈরি করতে হয়। মাটিকে যথাযথভাবে তৈরি করতে পারলে তার ওপর রাস্তা টেকসই হবে। তা না হলে বন্যা বা বর্ষার পরেই কিন্তু রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে।
জলাধার যাতে নষ্ট না হয় সেভাবেই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমি দেখেছি একটা সুন্দর বড় পুকুর, তার ভেতরে বিল্ডিং বানানের প্ল্যান নিয়ে আপনারা হাজির হন। আমি আসার পর যে কয়টা এসেছে, আমি বাতিল করে দিয়েছি। আমি আসার আগেই এই ঢাকা শহরে অনেক পুকুর বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ওই এলাকার যত পানি সেটা যাবে কোথায়?
তিনি আরও বলেন, পান্থপথ ছিল একটা বিল। পুরো বর্ষাকালে সেখানে পানি জমতো। ওখানে একটা খাল ছিল। বক্স কালভার্ট করার কারণে বৃষ্টির পানি জমে যায়। সেই পানি নিষ্কাশনের জন্য আলাদা ব্যবস্থা নিতে হলো। আমাদের দেশের জন্য এটা (বক্স কালভার্ট) প্রযোজ্য না। আমি মনে করি আমাদের উন্মুক্ত খাল থাকবে। দরকার হলে আমরা সেখানে এলিভেটেড রাস্তা করবো। নিচে খাল, উপরে রাস্তা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন হতে হবে পরিবেশবান্ধব ও ব্যয় সাশ্রয়ী। আর আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, তৃণমূল থেকেই উন্নয়নটা করা। তৃণমূল থেকে মানুষের মাথাপিছু আয়টা বৃদ্ধি এবং তৃণমূল থেকে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
সরকার প্রধান বলেন, আমাদের ছোট্ট ভূখণ্ড, কিন্তু বিশাল জনগোষ্ঠী। কাজেই আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সেটা মাথায় রেখেই দেশের জনগণ কতটুকু লাভবান হবে, তা ভেবেই প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। আর উন্নয়ন হতে হবে পরিবেশবান্ধব ও ব্যয় সাশ্রয়ী।
তিনি আরও বলেন, কীভাবে জ্বালানি উদ্ভাবন করতে পারি, কীভাবে আমরা স্বল্প খরচে উন্নয়নের কাজটা সচল রাখতে পারি, যোগাযোগ ব্যবস্থার কীভাবে আরও উন্নত করতে পারি, সেটা চিন্তা করেই প্রকল্প নিতে হতে। আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, তৃণমূল থেকেই উন্নয়নটা করা। তৃণমূল থেকে মানুষের মাথাপিছু আয়টা বৃদ্ধি করা। তৃণমূল থেকে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে শিল্পায়নের সাথে সাথে আমাদের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, আমাদের নিজস্ব বিশাল বাজার, সেই বাজার আমাদের সৃষ্টি করতে হবে এবং সেদিকে লক্ষ্য রেখেই পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। এরইমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশে করা হয়েছে, এখন স্মার্ট বাংলাদেশে করা হবে।