বাইতুল মোকাররম মসজিদ সংলগ্ন স্বর্ণের মার্কেটে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস যাওয়ার আগেই তা নিয়ন্ত্রণে আনে আশেপাশের দোকানিরা। তারা বলছেন, দোকানে থাকা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের স্বর্ণের মার্কেটের দোতলায় ‘সাজেদা জুয়েলার্স’ নামক একটি দোকানের পাশের করিডরে আগুন লাগে। বাংলানিউজের কাছে ঘটনার বণানা দেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মুসল্লি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক।
তিনি বলেন, ২টা ৫০ মিনিটের দিকে বাইতুল মোকাররমের পশ্চিম পাশে সাজেদা জুয়েলার্স নামের স্বর্ণ মার্কেটের দোতলায় একটি দোকানের করিডরে (সামনের রাস্তায়) বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে ধোঁয়া দেখা যায়। তখন আগুনের স্ফুলিং ছড়াচ্ছিল। তারে তারে শর্ট সার্কিটের কারণে এমনটা হয়। তাৎক্ষণিক আশেপাশের দোকানিরা আগুন নেভানোর সিলিন্ডার নিয়ে গিয়ে তাতে স্প্রে করলে আগুন নিভে যায়। এ সময় আশেপাশের অন্যান্য দোকানদাররা তাদের বিদ্যুতের মেইন সুইচ অফ করে দেয়। মূলত আগুন লাগার কারণ- আশেপাশের দোকানগুলোতে অতিরিক্ত এসি ছাড়া ছিল। যে কারণে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট ঘটে।
মুসল্লি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক বলেন, এখন তো সব ঘটনাই খুব দ্রুত ছড়ায়, খবর সব জায়গায় পৌঁছে যায়। তাই সবাই মনে করেছিল আগুন ছড়িয়ে যেতে পারে। তারা ভয়ে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন করে। যদিও ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই আগুন নিভে যায়। তবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগার ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আমরা দোকানগুলোকে চালু করার জন্য অনুমতি দিয়ে দিয়েছি। তবে সবাইকে বিদ্যুৎ কম ব্যবহারের অনুরোধ করছি- যেমন; এসি বা অতিরিক্ত লাইট।
এর আগে, বায়তুল মোকাররমের স্বর্ণের মার্কেটের ২য় তলায় বিদ্যুতের লাইন থেকে আগুন লাগে। ২টা ৫৩ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়।
তবে ইউনিট যাওয়ার আগেই আগুন নিভে যায় বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা শাজাহান শিকদার।