আব্দুল আলিম, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি নওগাঁ- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে আমসহ মৌসুমি ফল বিক্রিতে ঝোঁক বেড়েছে আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিতি নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে, এ বছর সাপাহার উপজেলায় ৯ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে ১ লক্ষ ৪০ হাজার মেন্ট্রিকটন আম উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে যার আনুমানিক বাজার দর হতে পারে ১৫০০ কোটি টাকা।
বছরের শুরুতেই কাঁচামিঠা, গোপালভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া কিংবা আম্রপালি—নানা জাতের আমের ঘ্রাণে মৌসুম জুড়েই মাতোয়ারা থাকেন ফলপ্রেমীরা। তবে আম কিনতে গিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন থেকেই যায়—এই আম ফরমালিনমুক্ত তো? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই সাহসী এক উদ্যোগ নিয়েছেন সাপাহার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী সাকিব হোসেন। এ মৌসুমেও নওগাঁর সাপাহারের বাগানিদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ‘কাঁচামিঠা’ ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অনলাইনে আম বিক্রি করছেন তিনি।
শখের বশে ২০২১ সালে প্রথম যাত্রা শুরু। এরপর ক্রেতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়া মেলায় লাভবান হচ্ছেন তিনি। শখের বশে আম বিক্রি শুরু করে এখন হয়ে উঠেছেন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী। বাড়িতে বসেই এখন অনলাইনে আম কিনতে পারছেন ক্রেতারা। বাগান থেকে কেমিক্যালমুক্ত আম চলে আসছে বাড়িতে, বাড়তি কোনো ঝামেলা ছাড়াই। ঢাকাসহ সারাদেশে এখন পুরোদমে আম বেচাকেনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে, কেমিক্যালমুক্ত আম পাওয়ার নিশ্চয়তা ও করোনাকালের অভিজ্ঞতা থেকে এ ধারা যথেষ্ট বেগবান তিনি। গত কয়েক বছরের মতো চলতি বছরের শুরুতেই অনলাইন বাজারে এ অঞ্চলের আমের বেচাকেনা জমে উঠেছে।
Kacha Mitha পেজের স্বত্বাধিকারী সাকিব হোসেন বলেন, (https://www.facebook.com/kachamithabd) ০১৭০৬-৯৫৯২৯৯ দিয়ে শুরু হয় তার যাত্রা। শুভাকাঙ্ক্ষী, শিক্ষক, বন্ধু সবার উৎসাহে তিনি হাত দেন অনলাইনে আম বিক্রির কাজে। শুরুতেই পান ব্যাপক সাড়া। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। তিনি আরও বলেন, প্রথম বছরেই বুঝেছি, মানুষ বিশুদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য ফল চায়। আমরা বাগান থেকে বাছাইকৃত আম সংগ্রহ করে সরাসরি ক্রেতাদের হাতে পৌঁছে দিয়েছি। অনেক ক্রেতাই আমাদের সততার জন্য বারবার অর্ডার করেছেন।” চলতি
সিজনেবাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ক্যাশঅন হোম ডেলিভারি ও পয়েন্ট ডেলিভারি কুরিয়ার মাধ্যমে সরবরাহ করেছেন নওগাঁর আম। গত মৌসুমে তাঁর সরবরাহ করা আমের পরিমাণ ছিল প্রায় ২ হাজার কেজি। এইবার তার লক্ষমাত্রা ১০-১৫ হাজার কেজি আম সরবারাহ করা। নতুন কাস্টমারদের থেকে অগ্রিম ২৫-৩০% পেমেন্ট আগে গ্রহণ করেন ।
বর্তমানে এই উদ্যোগে যুক্ত করেছেন আরও দু’জনকে। একজন ডেলিভারি ম্যান ও একজন বাগান সহকারী কাজ করছেন তাঁর সঙ্গে। তিনি জানান, আগামী ২০-২৫ দিনের মধ্যে সকল আম বাজারে আসতে শুরু করবে। তখন থেকেই সকল আম সরবরাহ কার্যক্রম শুরু করবেন। বর্তমানে কাঁচামিঠা, হিমসাগর ও নাগফজলি সরবারাহ করছেন তিনি।
অনলাইনে আম বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এই ব্যবসায় শেখার অনেক কিছু আছে। নিয়মিত চেষ্টা করছি নিজেকে আপডেট রাখতে। ধৈর্য, পরিশ্রম আর ইচ্ছা থাকলে সফলতা আসবেই। “পণ্যের মান ধরে রেখে আরও বড় পরিসরে কাজ করতে চাই। পড়াশোনা শেষে পুরোপুরি এই ব্যবসায় যুক্ত থাকার ইচ্ছা আছে।