শাল্লায় কান্দিগাঁও গ্রামে বাড়ির সীমানা নিয়ে সেন্টু মিয়া ও মালেক মিয়া পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৪ জন পুলিশ সদস্যসহ ৫২ জন আহত হয়েছে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল ও শর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করে।
এর মধ্যে গুরুতর আহত ৯ জনকে সুনামগঞ্জের শাল্লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যালে প্রেরণ করা হয়।
সোমবার (১১ মার্চ) সকাল অনুমান ৯টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, শাল্লা ইউপির কান্দিগাঁও গ্রামে বাড়ির সীমানা নিয়ে সেন্টু মিয়া ও মালেক মিয়ার মধ্যে বিরোধ ছিল। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার সকাল অনুমান ৯টায় শাল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার মিয়া ও সাবেক মেম্বার এবং উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক মিয়া গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কান্দিগাঁও গ্রামে মারামারিতে উভয়ের মধ্যে ৫২ জন আহত। এর মধ্যে পুলিশ ৪জন। আহতদের মধ্যে গুরুতর ৯জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে। বাকিদের এখানেই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) শহিদুল হক মুন্সি জানান, কান্দিগাঁও গ্রামের সেন্টু মিয়া ও মালেক মিয়ার মধ্যে বাড়ির সীমানা নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। এর মধ্যে আমাদের পুলিশ সদস্য ৪ জন আহত। সংঘর্ষ থামাতে ৭ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়। এই পর্যন্ত ১৫-২০ জনকে আটক করা হয়েছে। এই সংঘর্ষের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।