ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় যাওয়া যায় না বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন,রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। এজন্য বিএনপি ধীরে ধীরে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।
শনিবার (২৩ মার্চ) ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লা নাঙ্গলকোটের তেজের বাজার এলাকায় রেল দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি ও জোট সরকারের আমলের রেলকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছেন, নতুন-নতুন রেলপথ নির্মাণ করে চলেছেন। যাত্রীদের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। যারা জাতীয় সম্পদ ধ্বংস করে ফায়দা লুটতে চায় জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। মাঝে-মাঝে রেল দুর্ঘটনা ঘটছে। তদন্ত হচ্ছে। আমরা যতটুকু বোঝার বুঝে নিয়েছি। রেল দুর্ঘটনার সঙ্গে কারো সম্পৃক্ততা থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, যাত্রীদের যাতে নিরাপদে পৌঁছে দিতে পারি আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। এখানে বার বার ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই আমরা সংসদীয় কমিটির সদস্যরা সরেজমিনে পরিদর্শন করার জন্য এসেছি। আমাদের ঘটনাস্থলে আসার খবরে প্রধানমন্ত্রী খুশি হয়েছেন। পরিদর্শন ও তদন্ত কমিটির তদন্ত রিপোর্ট প্রাপ্তির মাধ্যমে এ বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে রেল দুর্ঘটনা রোধে আমরা কাজ করব। জনসাধারণ সচেতন হলে রেলের যাত্রা নিরাপদ হবে।
আবার কেউ রেল লাইন কেটে নাশকতা করতে যায় কিনা এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, সদস্য শফিকুর রহমান এমপি, সংরক্ষিত মহিলা এমপি নুরুন্নাহার বেগম, রেলওয়ে সচিব হুমায়ুন কবির, রেলওয়ে মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর, রেলওয়ে পুলিশ সুপার মো. হাসান, নাঙ্গলকোট উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুউদ্দিন কালু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ ভুঁইয়া, ঢালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান ভুঁইয়া বাছির প্রমুখ।
জানা যায়, গত ১৭ মার্চ নাঙ্গলকোটের হাসানপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন তেজের বাজার নামক স্থানে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরগামী আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৮টি বগির মধ্যে ৯টি লাইনচ্যুত হয়। এতে অন্তত ৩০জন আহত হন।
