বিএনপির কর্মীসভা চলাকালে নেতার বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপে হাতাহাতি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৯ মার্চ) সকালে বরিশাল নগরীর সদর রোডে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
এসময় সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিশ্বস্ত দলীয় সূত্র জানিয়েছে, তৃণমূল বিএনপিকে ঢেলে সাজাতে দুই মাস আগে উজিরপুর উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ওই উপজেলায় নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে রোববার সকাল ১০টায় বরিশাল নগরীর সদর রোডের দলীয় কার্যালয়ে উজিরপুর উপজেলা বিএনপির কর্মীসভা শুরু হয়। এসময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল মাজেদ মান্নান মাস্টারের সভাপতিত্বে কর্মী সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহিন। এই সভায় উজিরপুর উপজেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণার কথা ছিলো। সভা চলাকালে সভাস্থলের বাইরে সরদার শরফুদ্দিন আহমেদ সান্টুর বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল মাজেদ মান্নান মাস্টারের অনুসারীরা। সান্টু উজিরপুরের সাবেক সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি। সান্টুর বিরুদ্ধে স্লোগানের পর দুই গ্রুপের মধ্যে প্রথমে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। পরে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এসময় একটি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
শারফুদ্দিন আহমেদ সান্টু অনুসারী উজিরপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আ.ফ.ম শামসুদ্দোহা আজাদ বলেন, কর্মীসভা চলাকালে মান্নান মাস্টারের লোকেরা নেতাকে (সান্টু) উল্টোপাল্টা স্লোগান দেয়। এজন্য আমাদের লোকেরা নেতার পক্ষে পাল্টা স্লোগান দেয়। এ নিয়ে একটু উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তবে কোনো মারামারি হয়নি।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল মাজেদ মান্নান মাস্টার বলেন, আমি সভাস্থলে ছিলাম। তবে সভাস্থলের বাইরে কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা আমার জানা নেই। তবে শুনেছি নিজেদের মধ্যে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। সেটা কি নিয়ে বলতে পারবো না। খোঁজ নিয়ে জানাতে পারবো।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহিন সন্ধ্যায় জানান, আমি হাতাহাতির ঘটনা দেখিনি। স্লোগান পাল্টা স্লোগান হয়েছে।