বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদুর রহমানের বাড়িতে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের মুহুরিগঞ্জ বাজার ও মাসুদের রহমানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ৩টি গুলির খোসা ও বিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়।
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, একদল যুবক মুহুরিগঞ্জ বাজারে ককটেল বিস্ফোরণ করতে করতে মাসুদের রহমানের বাড়ীর দিকে যাচ্ছে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোরশেদ আলম।
মাসুদুর রহমানের মা ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাস্তার ওপর বিকট শব্দ শুনতে পাই। বাড়ির ভেতরে বিকট শব্দ হয়েছে। ২০ থেকে ২৫ জন সন্ত্রাসী গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় কয়েকজন মাসুদকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। হামলার সময় নারী, শিশুদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিএনপি নেতা মাসুদুর রহমান অভিযোগ করেন বলেন, ‘আমি ঢাকাতে অবস্থান করছিলাম। ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. ইসমাইল হোসেন বাবুলের ছবি মুছে ফেসবুকে দিয়েছি। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার অনুসারী মমিন উল্যাহ, জাহাঙ্গীর আলম, দেলোয়ার হোসেন, সৈকত, নিজাম, আকাশ, শাওন, সিএনজি বাবুল, সিএনজি জাহাঙ্গীরসহ ২০ থেকে ২৫ সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা চালিয়েছে আমার বাড়িতে। হামলাকারীরা ককটেল গুলি ছুড়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।’
মুহুরিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী লাতু মিয়া বলেন, বাজারের পূর্বপাশ থেকে ককটেল বিস্ফোরণ করতে করতে মাসুদুর রহমানের বাড়িতে হামলা করা হয়।
ককটেল বিস্ফোরণের তথ্য নিশ্চিত করেন দেওটি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. ইসমাইল হোসেন বাবুল বলেন, সিনিয়র নেতাকে ব্যঙ্গ করে ফেসবুকে ছবি ছাড়ানোতে অনেকে ক্ষিপ্ত হয়েছে। আমি তাদেরকে বুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে যাই। পরবর্তীতে শুনেছি মুখোশ পরে কারা হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, পুলিশ অভিযুক্তদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।