বিএনপি নেতা পরিচয় প্রতিবেশীর চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে।
সিলেট নগরীর খাসদবী এলাকার আ/এ বন্ধন-বি/২৫ এলাকার বাবুল মিয়ার পুত্র মিল্লাত, মিনহাজ, টিটু, মামুন আহমদ মিন্টু, আবুল মিয়ার পুত্র নাসির আহমদ সেবুল, গুলজারের পুত্র ফাহিম, মাহমুদ আহমদ পিন্টুর পুত্র তামিম আহমদ দীর্ঘ দিন যাবত প্রতিবেশীকে হয়রানী করে আসছেন। বিগত দিন স্থানীয় কাউন্সিলের হস্তক্ষেপে মিমাংসা হলেও গত ৫ আগস্টের পর বিএনপি পরিচয়ে রাস্তা বন্ধে করে প্রতিবেশী রহমান বক্স’র পুত্র আব্দুল মালিক (বাসন)’র পরিবারকে হয়রানী করে আসছেন।
সেই ধারাবহিকতায় বিএনপি পরিচয়ে বাবুল মিয়ার পুত্র মিল্লাত, মিনহাজ, টিটু, মামুন আহমদ মিন্টু, আবুল মিয়ার পুত্র নাসির আহমদ সেবুল, গুলজারের পুত্র ফাহিম, মাহমুদ আহমদ পিন্টুর পুত্র তামিম আহমদ অজ্ঞাত ৩ থেকে ৪ লোক নিয়ে গত ১৯ অক্টোবর রাত অনুমানিক ৮টায় রহমান বক্স’র পুত্র আব্দুল মালিক (বাসন)’র পরিারের উপর হামলায় চালায়।
এই ঘটনায় এসএমপির এয়ারপোর্ট থানায় রহমান বক্স’র পুত্র আব্দুল মালিক (বাসন)’র বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার নং- ১৯ (২৪.১০.২০২৪ইং) ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, হামলাকারীদের বসত বাসার সংলগ্ন বাউয়ান্ডারী দেয়াল ঘেষে আব্দুল মালিক (বাসন)’র সহ আশপাশের আরো কয়েকটি পরিবারের চলাচলের রাস্তা রয়েছে। রাস্তা দিয়া চলাচল করিলেও হামলাকারীরা প্রায় সময়ে বিভিন্ন ভাবে চলাচলকারীদের বিঘ্নতা সৃষ্টি করেন। চলাচলের রাস্তাটি অনুমান সাত ফুট প্রশস্ত রাস্তা হওয়ায় কোন রকমে ভাবে আব্দুল মালিক (বাসন) ও বসবাসকারীরা চলাচল করেন। রাস্তার প্রশন্ত কম হওয়ায় বড় কোন গাড়ী বাসায় যেতে পারে না। হামলাকারীরা অন্যায় ভাবে রাস্তার দিকের বাউয়ান্ডারীর বাহির অংশে বক্স সংযুক্ত এসি লাগানোর পায়তারা করিতে থাকে। বাসন ও বসবাসকারীরা রাস্তায় চলাচলে আর কোন বিঘ্ন সৃষ্টি না করার জন্য বাউয়ান্ডারীর দেয়ালে এসি লাগাতে বাধা প্রদান করেন। এমন সময় হামলাকারীরা বাঁধা প্রদানকারীদের উপর হামলা চালায়। তারা বেধড়ক কিল, ঘুষি মারিয়া মাথা ও নাকে মুখে নীলা ফুলা জখম করে। বাজার খরচের পাঁচ হাজার) টাকা নিয়া যায়। ঐসময়ে বাসনের ছেলে আজমল হোসাইন এগিয়ে আসলে তাকে দেশী অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। ছেলের মাতায় গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। বাসন জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করিয়া থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করি। তাৎক্ষনিক আহত আজমল হোসেনকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়া যাওয়া হয়।
এবিষয়ে এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান মামলাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।