বিদেশি ঋণ পাওয়ার জন্য বাধ্য হয়ে পরামর্শক নিয়োগ দিতে হচ্ছে

পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন বিদেশি ঋণ পাওয়ার জন্য বাধ্য হয়ে পরামর্শক নিয়োগ দিতে হচ্ছে। তিনি বলেছেন, যেকোনো বিদেশি বড় ঋণ পেতে হলে ছোট পরামর্শকের বোঝা ঘাড়ে নিতেই হবে। সেটি না হলে তারা ঋণ দিতে চায় না।

রোববার (২০ এপ্রিল) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, বে টার্মিনালের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১৩ হাজার ৫২৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক দেবে ৯ হাজার ৩৩৩ কোটি এবং সরকারি তহবিল থেকে খরচ হবে ৪ হাজার ১৯২ কোটি টাকা।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর আসলে সমুদ্রবন্দর নয়, এটি নদীবন্দর। কাজেই আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সমুদ্রবন্দর দরকার। এজন্য বে টার্মিনালের অবকাঠামো উন্নয়নে মেগাপ্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। এর একটি আজ অনুমোদন দেওয়া হলো। আরও একটি প্রকল্প নেওয়া হবে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে। সব মিলিয়ে এখানে চারটি টার্মিনাল হবে এবং এটি মেগা প্রকল্প হবে। প্রকল্পটি যাতে দ্রুত শেষ হয়, সেজন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২০ এপ্রিল) একনেকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে আরও আছে–জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মাল্টি-সেক্টর প্রকল্প, চট্টগ্রাম মহানগরীর পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন প্রকল্প (১ম পর্যায়) এবং চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন। এ ছাড়া গ্রিন রেলওয়ে পরিবহন প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা, তিতাস ও বাখরাবাদ ফিল্ডে ২টি গভীর অনুসন্ধান কূপ খনন, বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের খনন সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্প। এ ছাড়াও রয়েছে, বায়ু দূষণ পর্যবেক্ষণ যন্ত্রপাতি উন্নয়ন—বাংলাদেশ টেকসই পুনরুদ্ধার, জরুরি প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া প্রকল্প, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বিএডিসি উন্নয়ন- বাংলাদেশ টেকসই পুনরুদ্ধার, জরুরি প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া প্রকল্প প্রভৃতি অনুমোদন পেয়েছে এ সভায়।

চট্টগ্রাম বে টার্মিনালের অবকাঠামো উন্নয়নসহ ১৪ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে আজকের সভায়। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নির্ধারিত এ ব্যয়ের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে বরাদ্দ হবে ৩ হাজার এক কোটি টাকা, বৈদেশিক সহায়তা থেকে আসবে ১৬ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থাকবে ৪ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা।