মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দিনগত রাত ৩টার দিকে রাজশাহীতে বিদেশি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলিসহ রমজান আলী (৩০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব।
মহানগরের মতিহার থানার ধরমপুর এলাকার নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে র্যাব-৫ এর সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব সদস্যরা তার বাড়ি থেকে একটি ম্যাগাজিন, একটি দেশীয় ধারালো চাপাতি, একটি টিপ চাকু, মোবাইল ও সিম উদ্ধার করেন। রমজান ওই এলাকার মৃত ইয়াজ উদ্দিনের ছেলে।
এলাকাবাসী তার কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে তার বিচারের দাবি জানান। তার নামে বিস্ফোরক মামলা, হত্যা মামলা, মারামারি ও হত্যাচেষ্টা মামলাসহ ১৫টি মামলা আছে। তার নামে অস্ত্র আইনে মহানগরের মতিহার থানায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৫ মে গভীর রাতে রমজানের বসতবাড়ী থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১১ জনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের নেতা রমজান আলীসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন পলাতক ছিলেন।
পরে র্যাব রমজান আলীকে ধরতে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব সদস্যরা জানতে পারেন, মহানগরের মতিহারের ধরমপুর এলাকার নিজ বাড়িতে রমজান অবস্থান করছেন।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে র্যাবের টহল দল তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। এ সময় তার বাড়িতে তল্লাশি করে তার শয়ন কক্ষের বিছানার তোশকের নিচে লুকানো বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, গুলি ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে।
র্যাব জানায়, আটককৃত রমজান রাজশাহী মহানগরীর একজন চিহ্নিত অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী। তিনি ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি বোমা তৈরিতেও দক্ষ। নিজে বোমা তৈরি করেন এবং অন্যদের বোমা তৈরিতে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। তিনি বেশীরভাগ সময় পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে অবস্থান করেন।