বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আরজিনা খাতুন (৪৫) ও তার মেয়ে অরশা খাতুনের (১৩) মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা থানার আতাইকুলা ইউনিয়নের কাচারপুর পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন-ওই গ্রামের মো. নবাব উদ্দিন খানের স্ত্রী ও মেয়ে। মেয়ে অরশা খাতুন কাচারপুর দাখিল মাদরাসার ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
নিহতের স্বামী নবাব উদ্দিন খান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে মেয়েকে মাদরাসায় পড়াচ্ছিলাম। মেয়ে আমার খুব মেধাবী ছিল। কিন্তু আজকে আমার সব স্বপ্ন ভেঙে গেল। কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। মেয়ের সঙ্গে স্ত্রীও চলে যাওয়াতে আমার সর্বনাশ হয়ে গেল। আমার সব শেষ হয়ে গেল। আল্লাহ দুজনকে যেন জান্নাতবাসী করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টিনের চালার ঘর তাদের। বুধবার বিকেল ৪টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় ঘরের টিনের নিচে বৃষ্টির পানিতে গোসল করছিল মেয়ে অরশা খাতুন। গোসল শেষে গোয়াল ঘরে উঠতে গেলে লোহার দরজায় লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। একপর্যায়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পুরো গোয়ালঘর বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে মা আরজিনা খাতুন এগিয়ে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
আতাইকুলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টিতে গোসল করে গোয়াল ঘরে উঠতে গিয়ে প্রথমে মেয়ে বিদ্যুতায়িত হয় পরে তাকে উদ্ধার করতে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ঘটনাস্থলেই মা-মেয়ে মারা গেছে। বৃষ্টির দিনে সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলে পরামর্শ দেন তিনি।