রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, শিক্ষার্থীদের মারধর সহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন সাবেক শিক্ষার্থীরা।
তাদের সাথে কিছু বর্তমান শিক্ষার্থীরা যুক্ত হলেও, কিছু শিক্ষার্থীদের দাবি এমন কোন অভিযোগের সত্যতা তারা পাননি। মানববন্ধন শেষে সাবেক শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন নি কিছু শিক্ষার্থী। এ সময় বিদ্যালয়ের ভিতরে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
মহসিন আহমেদ নামে এক সাবেক শিক্ষার্থী জানান, বালাগঞ্জ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল আলম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের বিরোধিতা করে বিদ্যালয়েরর ভিতরে বৈঠক করেছেন তিনি। বিদ্যালয়ের ফান্ডের ৩৬ লক্ষ টাকা লুট করে বিলাসবহুল বাংলো বানানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার এমন কর্মকান্ডের কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। মানবন্ধনে বর্তমান শিক্ষার্থীরাও যুক্ত ছিলেন। এ বিষয়ে গত তিনদিন আগে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীদের দাবি এমন কোন অভিযোগের সত্যতা পাননি তারা। প্রধান শিক্ষকের পক্ষে মিছিলও করেছেন কিছু শিক্ষার্থী। মানববন্ধন শেষে সাবেক শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন নি কিছু শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আকঙ্ক ছড়িয়ে পরে। পরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
১৯৩০ সালে মহানগরের দাড়িয়াপাড়া এলাকায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠিত রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে সৈরাচরিতা, শিক্ষার্থীদের মারধর, ফান্ডের টাকা লুট, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ এনে রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। সাবেক শিক্ষার্থীদের দবি প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনিয়ম করছেন। বিদ্যালয়ে বিশুদ্ধ পানির অভাব রয়েছে, বাথরুমের অবস্থা খারাপ। বিদ্যালয়ের টাকা লুট করে বাংলো বানিয়েছেন তিনি। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের বিরোধিতা করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক অসীম রঞ্জন তালুকদার জানান, সাবেক শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের সামনে প্রধান শিক্ষকের পদত্যেগের দাবিতে মানবন্ধন করেছেন। শুনেছি তারা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছেন। জেলা প্রশাসক যদি এর সত্যতা পান তাহলে ব্যবস্থা নিবেন।