ঢাকাবুধবার , ১৫ নভেম্বর ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিয়ানীবাজার থেকে দৈনিক মিলবে ৮ থেকে ৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

rising sylhet
rising sylhet
নভেম্বর ১৫, ২০২৩ ২:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাইজিংসিলেট- বিয়ানীবাজার-১ গ্যাসক্ষেত্রের একটি কূপ ওয়ার্কওভার (পুনঃখনন) কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা গ্যাস কূপটিতে উৎপাদন শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় পরিচালিত এই প্রকল্প গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন তিনি।

এসময় ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১৫৭টি প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী ১০ হাজার ৪১টি অবকাঠামোর সমন্বিত উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পেট্রোবাংলার হিসাব অনুযায়ী, কূপটি উৎপাদন শুরু করায় জাতীয় গ্রিডে বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড থেকে দৈনিক ৮-৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের মহা ব্যবস্থাপক (কোম্পানী সচিব) প্রকৌশলী মো: ফারুক হোসেন জানান, সিলেট-৮, বিয়ানীবাজার-১ ও কৈলাশটিলা ৭নং কূপ ওয়ার্কওভার করে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এই তিনটি কূপ থেকে জাতীয় গ্রীডে প্রায় ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারছি।

তিনি বলেন, দেশে গ্যাস সরবরাহ সংকট কাটাতে নতুন কূপ খনন, উৎপাদনে থাকা কূপের সংস্কার এবং পরিত্যক্ত কূপ পুনঃখননের উদ্যোগ নেয় পেট্রোবাংলা। এরই আওতায় বিয়ানীবাজার-১ কূপটির ওয়ার্কওভারের কাজ শুরু হয়। পরে বাপেক্সের ওই কূপে অনুসন্ধান কাজ চালিয়ে গ্যাসের মজুদ পায়। এসজিএফসিএল সূত্রে জানা গেয়েছে, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপটি চার দশক আগের। ১৯৮১ সালে এ গ্যাস ফিল্ডে কূপ খনন শুরু হয়। এরপর গ্যাস ফিল্ডটি থেকে গ্যাস তোলা শুরু হয় ১৯৯১ সালে। ২০১৪ সালে কূপটির সরবরাহ কমলে একপর্যায়ে গ্যাস উত্তোলনও বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে কূপটি পুণরায় উৎপাদনে এলেও ওই বছরের শেষ নাগাদ তা আবারো বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০১৭ সাল থেকে কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল।

পেট্রোবাংলার গ্যাস মজুদের তথ্য অনুযায়ী, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডে ৯২ বিসিএফ (ডিসেম্বর-২০২১ পর্যন্ত) গ্যাস মজুদ রয়েছে। গ্যাসক্ষেত্রটিতে ২০৩ বিসিএফ গ্যাসের মজুদ আবিষ্কার হলেও এখন পর্যন্ত কূপটি থেকে ১১১ বিসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে।

পেট্রোবাংলা ২০২২-২৩ অর্থবছরের মধ্যে মোট ১৬টি কূপ খনন, উন্নয়ন ও সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছিল। এর মধ্যে বিয়ানীবাজার-১ কূপটিও ছিল। এ কূপ থেকে দৈনিক পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করা হয়েছিল যদিও এখন তা বেড়ে প্রায় ৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে বলে জানান পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

জ্বালানি বিভাগের তথ্য থেকে জানা যায়, এসজিএফসিএলের আওতায় যেসব গ্যাস ফিল্ড রয়েছে, সেগুলো ছয় দশক আগের পুরনো। ১৯৬০ সালের শুরুর দিকে এগুলো উৎপাদনে আসে। তাই জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন একটি কূপ উৎপাদনে থাকলে তার গ্যাসের চাপ কমে যায়। কম্প্রেসার বসিয়ে গ্যাসের চাপ তৈরি করতে হয়, তাহলেই উৎপাদন বাড়ে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের পর বিয়ানীবাজার-১ গ্যাসক্ষেত্র ঘুরে দেখেন সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের মহা ব্যবস্থাপক (কোম্পানী সচিব) প্রকৌশলী মো: ফারুক হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফসানা তাসলিম, সহকারি কমিশনার (ভূমি) তানিয়া আক্তার, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের উপমহা ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার কবির, ব্যবস্থাপক (রক্ষণাবেক্ষন) প্রকৌশলী মো: রাজু কামাল শাহ, ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো: ইমরুল কায়েস, সিবিএ প্রতিনিধি মো: অলি আহমেদ চৌধুরী, মো: মোরশেদ উদ্দিন, মো: রফি উল্লাহ, বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো: জয়নুল ইসলাম প্রমুখ।

২৪৩ বার পড়া হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।