হাসিনা সরকার পতনের পর লোকচক্ষুর বাইরেই রয়েছেন আলোচিত ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি। এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে তার বিয়ের খবর।
এদিকে আফ্রিদির বিয়ে নিয়ে যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা চর্চা চলছিল ঠিক তখন আত্মগোপন থেকে প্রকাশ্যে এসে বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর।
সামাজিকমাধ্যমে বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেশ কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়েছে তৌহিদ আফ্রিদির। যেখানে বরের সাজে দেখা যাচ্ছে তাকে। অনেকের ধারণা বিয়ে করেছেন তৌহিদ আফ্রিদি-রাইসা। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিয়ের যেসব ছবি খবর হিসেবে ছড়িয়ে পড়ে সেখানে পাত্রী রাইসা ছিলেন না বলে জানিয়েছে আফ্রিদির পরিবারসহ কনের পরিবার।
এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলেন, বিয়ে তো একটা দায়িত্ব। সবার কাছে দোয়া চাইব, আমার জীবনটাকে যেন গুছিয়ে রাখতে পারি। আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে সব সময় আপনাদের মাঝে এভাবে ভালোবাসা নিয়ে থাকতে পারি। আমি এখন আমাদের টেলিভিশন চ্যানেল মাই টিভি নিয়ে ব্যস্ত। উপস্থাপনা করছি। ইউটিউব কনটেন্ট বানানোর কাজ করব।
তিনি বলেন, আমি গাড়িতে বসে শুনি গোপনে বিয়ে করলেন তৌহিদ আফ্রিদি! আরে, বিয়ে তো গোপনে করিনি, আমি বিয়ের ছবি আপলোড দেওয়ার আগে আপলোড হয়ে গেছে। ভেবেছিলাম বাসায় যাব, এরপর সবাইকে বিয়ের খবর জানাব। কিন্তু সে সময় আর কই পেলাম। অনেকেই ছবি পোস্ট করেছে। আসলে জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে—এটা সম্পূর্ণ মহান আল্লাহ তাআলাই লিখে রাখেন। কার, কখন, কোথায়, কীভাবে বিয়ে হবে, এখানে কারও হাত নেই। আমি আমার মাকে নিয়ে কনে দেখতে গিয়েছিলাম, পরিবারকে নিয়ে দেখতে গেছি, ওখানেই কাবিন হয়ে গেছে।
তবে রাইসাকে বিয়ে করেননি তৌহিদ আফ্রিদি। তার বোন রামিসা আল রিসার সঙ্গে কাবিন হয়েছে তার। বিষয়টি নিয়ে বলেন, সমস্যা হচ্ছে, মানুষ আসলে কনফিউজড হয়ে গেছে, তারা তো যমজ বোন। যমজ বোন হওয়ার কারণে আমার শালিকে (শ্যালিকা) অনেকে আমার ওয়াইফ বলা শুরু করেছে। এসব এক দিক থেকে হাস্যকর লাগে।
সামাজিক মাধ্যমে ছবি ছড়ানোর পর থেকেই তৌহিদ আফ্রিদির বক্তব্যের অপেক্ষায় ছিলেন নেটিজেনরা। অবশেষে নিজের মুখ খুললেন তৌহিদ আফ্রিদি।