raising sylhet
ঢাকাশনিবার , ১ এপ্রিল ২০২৩
  1. অর্থনীতি
  2. আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খেলার খবর
  6. গণমাধ্যম
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. দেশের খবর
  10. ধর্ম পাতা
  11. পরিবেশ
  12. প্রবাস
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  15. বিনোদন

বিশ্বনাথে মাদরাসা নিয়ে বিরোধে হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য অধ্যক্ষকে লাঞ্চিত

rising sylhet
rising sylhet
এপ্রিল ১, ২০২৩ ৭:০২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার এলাহাবাদ (তেলিকোনা) মাদরাসার অধ্যক্ষ আবু তাহের মোঃ হোসাইনকে মহামান্য হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে অব্যাহতি দিয়েছেন মাদরাসার এডহক কমিটির সভাপতি মোঃ নিজামুল ইসলাম। শুধু মাদরাসার অধ্যক্ষকে অব্যাহতি নয়, অপমান, লাঞ্চিত ও একাধিকবার মাদরাসায় আক্রমন করে অফিস ভাংচুর ও তালাবদ্ধ করে রেখেছেন। অধ্যক্ষ স্থানীয় প্রশাসনে বারবার অভিযোগ দায়ের করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
অধ্যক্ষ আবু তাহির মোঃ হোসাইন ফুলতনী ও সরকারি আলিয়া সমর্থক হওয়ায় উগ্র কর্মকান্ডে বাধা দেয়ায় এমন হামলা করছেন বলেন অভিযোগ করেন।
সিলেটের এডিসি শিক্ষার এক পত্রের আলোকে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অধ্যক্ষ আবু তাহির মোঃ হোসাইনকে ‘অধ্যক্ষের পদ’ থেকে অব্যাহতি দিয়ে শিক্ষক মখলিছুর রহমানকে দায়িত্ব প্রদান করেন। অধ্যক্ষ আবু তাহির মহামান্য হাইকোর্টে এই চিঠির বিরুদ্ধে একটি রিট পিটিশন ১২৬/২০২৩ইং দায়ের করলে বিচারপতি মোঃ খছরুজ্জামান ও বিচারপতি ইকবাল কবির এর দ্বৈত অধ্যক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে ৬মাসের স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। এই আর্দেশের বিরুদ্ধে শিক্ষক মখলিছুর রহমান মহামান্য সুপ্রিমকোর্টে, হাইকোর্টের আর্দেশ স্থগিতের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখা হয়।
গত ১০ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড নিজামুল ইসলামকে সভাপতি করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি অনুমোদন দেয়। সভাপতি হয়েই নিজামুল ইসলাম প্রথমে অধ্যক্ষের নিকট থেকে মাদরাসার রেজুলেশন খাতা ছিনিয়ে নিয়ে অফিসে তালা মেরে দেন। তারপর মাদরাসার অফিস ভাংচুর ও অধ্যক্ষকে একাধিকবার লাঞ্চিত করা হয়। গত ২০ মার্চ নিজামুল ইসলাম অধ্যক্ষ আবু তাহিরকে চার মাসের ছুটি দিয়ে কারণ দশানোর নোটিশ জারী করেন। জবাব না দেয়ায় ২৬ মার্চ অধ্যক্ষ আবু তাহিরকে লাঞ্চিত করে অফিসা ভাংচুর ও নতুন আরেকটি তালা মেরে দেন।
বিশ^নাথ থানায় এনিয়ে দু,তিনটি অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, বিশ^নাথ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উগ্রপন্থিদের নিকট থেকে বিপুল অর্থের টাকা নিয়ে অধ্যক্ষের বিরোধীতা করে আসছেন।
সভাপতি নিজামুল ইসলাম জানিয়েছেন, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন। তবে তিনি এডহক কমিটির সভাপতি হওয়ায় অধ্যক্ষকে অব্যাহতি দিতে পারেন।
অধ্যক্ষ আবু তাহির মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, মাদরাসার অধ্যক্ষ হয়ে অনেক অপমান সইতে হচ্ছে। অবশেষে হাইকোর্টের নিদের্শ অমান্য করে সভাপতি মাদরাসার স্বার্থের পরিপন্থি কাজে জরিত রয়েছেন।
বিশ^নাথ থানার অফিসার ইনচার্জ গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, বিষয়টি শিক্ষা অফিসের হওয়ায় এখানে পুলিশের করণীয় কিছু নেই।
বিশ^নাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বলেছেন, এ বিষয়টি তাকে কেউ জানায়নি।

৫৩ বার পড়া হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।