আসামী পক্ষের সাথে মামা-ভাগ্নার সম্পর্ক সৃষ্টি করে ও মামলায় সুযোগ সুবিধা প্রদানের প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক কিস্তিতে লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে বিশ্বনাথ থানার এসআই (নিরস্ত্র) আলীম উদ্দিনকে ক্লোজ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮মার্চ) ফয়সল আহমদ নামের এক ভুক্তভোগী বিশ্বনাথ থানার এসআই (নিরস্ত্র) আলীম উদ্দিন (বিপি নং ৭৫৯৪০৪৫২৬৩)’র বিরুদ্ধে ‘মামলায় সুবিদা প্রদানের প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ এনে’ সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগপত্র দায়ের করেন। আর সেই লিখিত অভিযোগপত্রের প্রেক্ষিতেই ওই দিন তাকে (এসআই আলীম) ক্লোজ করা হয়।
এসআই আলীম উদ্দিনের ঘুষ গ্রহণ ও আসামী পক্ষের সাথে কতোপকতোনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
এঘটনায় ফয়সল আহমদ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে এসআই আলীম উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত আবেদন করেন। আর ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসআই আলীম উদ্দিনকে ক্লোজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ২৮ আগস্ট বিশ্বনাথ থানায় দায়ের করা একটি মামলা (এফ আই আর নং-২০)’র আসামীদেরকে সুযোগ সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে এসআই আলীম উদ্দিন আসামী পক্ষের কাছ থেকে চার কিস্তিতে লাখ টাকা ঘুষ বাণিজ্য করেন। আর ওই টাকা দেন উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের পুত্র ফয়সল আহমদ (৩২)। লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেও আসামী গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন এসআই আলীম। পরবর্তিতে কাজ না হওয়ায় ভোক্তভুগি ফয়সল আহমদ ঘুষের টাকা ফেরত চাইলে এসআই আলীম উদ্দিন তাকে (ফয়সল) বিভিন্ন মামলায় ঢুকিয়ে দেবেন বলে ভয়ভীতি দেখান।