সিলেট-কানাইঘাট বুরহানউদ্দীন সড়ক এখন বুঙ্গার (চোরাচালান) প্রধান রুট। সিলেট তামাবিল সড়কে সেনা অভিযানের পর থেকে বুরহানুদ্দীন রোডকে বেছে নিয়েছে চোরা কারবারিরা। তুলনামূলক এ সড়ক নিরাপদ হওয়ায় ভারতীয় চোরাইপণ্য ও গরুর জমজমাট চোরাচালান এ রোড দিয়ে।
কানাইঘাট-সিলেট বুরহানুদ্দীন সড়ক দিয়ে যাত্রীবাহী বাসের চলাচল তুলনামূলক কম হলেও সম্প্রতি চোরাই গরু ও চোরাই পণ্যবাহী ট্রাক মিনিট্রাকের চলাচল ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আসন্ন বর্ষায় সড়কটি ধসে পড়ার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।
সূত্রমতে সিলেটে ভারতীয় গরু চোরাচালানের মূল ডিলার কানাইঘাটের দুই ইউপি মেম্বার ও তাদের এক মিডিয়া পার্টনার। তারা হলেন-কানাইঘাট উপজেলার ৩নং দিঘীরপার পূর্ব ইউপি মেম্বার সাহাব উদ্দিন, উপজেলার সাতবাক ইউপি মেম্বার শায়েক ও কানাইঘাট সদরের ধনপুরের নিজাম উদ্দিন। নিজাম উদ্দিন বর্তমানে কানাইঘাট পৌরশহরে বিলাসবহুল বাসা দিয়ে সপরিবারে থাকেন এবং চোরাই মালামাল তদারকি করেন। তিনি চোরাচালানীদের ম্যানেজম্যান বলে অভিযোগে প্রকাশ।
গোয়াইনঘাট,জৈন্তাপুর ও কানাইঘাটের স্থল ও পাহাড়ী সীমান্ত দিয়ে অবাঁধে আনা হচ্ছে ভারতীয় চোরাই গরু ও চিনি। ইতোপূর্বে গোয়াইনঘাটের তোয়াকুল বাজার হয়ে হরিপুর বাজারে আসতো ভারতীয় গরুর চালান। আবার কানাইঘাটে ডোনা সীমান্ত দিয়ে পাচার করা চোরাই গরুর হাট বসতো কানাইঘাটের সড়কের বাজারে। সম্প্রতি সেনা অভিযানে হরিপুরের গরু বাজার উচ্ছেদ এবং সড়কের বাজারে প্রশাসনিক কড়াকড়ি আরোপ করায় কানাইঘাট-সিলেট বুরহানুদ্দীন সড়ককে ভারতীয় চোরাই গরু ও চিনি পাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে বেছে নিয়েছে চোরচালানীরা।
সূত্র- সোশ্যাল মিডিয়া সিলেট পোস্ট