সিলেট জেলা বিএনপির সহ শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক তামিম ইয়াহয়া বলেছেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শিক্ষার্থীসহ যারা শহিদ হয়েছেন জাতি তাদের আজীবন মনে রাখবে।
তিনি বলেন, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এ দেশের মানুষ ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে, কথা বলার স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে, আদালত থেকে শুরু করে থানা পুলিশ পর্যন্ত যেখানে আইনের সুশাসন নিশ্চিত হচ্ছে, জাতি তাদের ভুলবে না, ভুলতে পারে না। প্রতি বছর জুলাই-আগস্ট এই দুই মাসে জাতি তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
তার উদ্যোগে আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেল ৫টায় গোলাপগঞ্জ এমসি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত বিশেষ দোয়া মাহফিলে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ০৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবির গুলিতে নিহত হওয়া সিলেটের গোলাপগঞ্জের সাত জনের রূহের মাগফেরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
ফুলবাড়ি আজিরিয়া ফাজিল মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা সাইদুর রহমান, পীর সাহেব বরুনা।
গোলাপগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি কবির আহমদ ও হাফিজ আব্দুল হাকিমের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে কোরআনে পাক থেকে তেলাওয়াত করেন হাফিজ আহমদ হোসাইন।
মাহফিলের শুরুতে বক্তব্য রাখেন কানিশাইল গ্রামের নিহত হাফিজ কামরুল ইসলাম পাবেলের পিতা রফিক উদ্দিন, নিশ্চিন্ত গ্রামের নিহত মিনহাজ উদ্দিনের পিতা তৈয়ব আলী, শিলঘাট গ্রামের নিহত সানি আহমদের পিতা কয়ছর আহমদ, দত্তরাইল গ্রামের নিহত নাজমুল ইসলামের ভাই, ঘোষগাঁও গ্রামের গৌছ উদ্দিনের ভাই আবুল কালাম ও দত্তরাইল গ্রামের নিহত মিনহাজ উদ্দিনের ভাই।
দোয়া মাহফিলে গোলাপগঞ্জের সর্বস্তরের জনতা উপস্থিত ছিলেন।