বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নৃশংসতা চালিয়েছেন পুলিশের এসআই মাজিদুল ।
পটুয়াখালী জেলার দুমকি চরবয়ড়া এলাকার আব্দুস ছত্তার খাঁন এর ছেলে মাজিদুল হক খাঁন।
২০১৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশের উপ-পরিদর্শক ব্যাচ ৩৭ এ ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতার চাকুরী হওয়া নিয়ে এলাকায় রয়েছে গুঞ্জন। এলাকাবাসীর অভিযোগ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আফজাল হোসেনের এর কলকাটিতেই পুলিশে চাকুরী পেয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা।
বাংলাদেশ পুলিশের উপ-পরিদর্শক হিসেবে চাকুরী হওয়ার আগে মাজিদুল পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি (২০১৭/২০১৮) এবং শের-ই বাংলা হল ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্বে ছিলেন।
ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্ধ কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক এসআই’র বিরুদ্ধে।
পারিবারিক ভাবে অসচ্ছল মাজিদুল হক খাঁন পুলিশের প্রশিক্ষণ শেষে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানা, গৌরনদী থানা, উজিরপুর থানা এবং সর্বশেষ ঢাকা বংশাল থানায় বদলি হন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বংশাল থানায় কর্মরত ছিলেন পুলিশের এই সদস্য।
মাজিদুল চাকুরীতে প্রবেশের আগে ছাত্রলীগের চিন্হিত ক্যাডার ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার, ইবটিজিং, দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার, একাধিক মারামারি, উশৃংখলতা করায় থানা/কোর্টে একাধিক অভিযোগ ছিল বলে জানা গেছে। সাংগঠনিক পরিচয় বহন করে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে (এসআই) পদে যোগ দেন। কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে ঘুষ বানিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার সহ একাধিক অনিয়মে জড়িয়ে পরেন বিধায় অল্প সময়ের ব্যবধানে বার বার বদলীর সম্মুখীন হন।
পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাজেদ পারিবারিক ভাবে অস্বচ্ছল হলেও, অবৈধ আয়ের সুবাদে মাত্র ছয় বছর চাকুরির ব্যবধানে গ্রামের বাড়িতে ১২-১৫ লক্ষ টাকায় ঘর নির্মাণ করেন এবং নিজ জেলা পটুয়াখালী শহরে ৩৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৪ শতাংশ/ ৭ কাঠার একটি প্লট ক্রয় করেছেন বলে জানিয়েছেন এলাকার একাধিক বাসিন্দা।
অল্প সময়ের ব্যবধানে তিনি নিজ গ্রামের বাড়ি ও শশুর বাড়িতে অসামঞ্জস্য সম্পদের মালিক বনে যাওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানী ঢাকার প্রান কেন্দ্র বংশাল থানায় কর্মস্থল হওয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলকানা কর্মী হিসেবে আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর অতি উৎসাহী অমানবিক নৃশংসতা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে। বিভিন্ন হল, বাসা থেকে ছাত্রদের ধরে এনে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হতো বলে জানা গেছে। আর যারা টাকা দিতে ব্যর্থ হতো, তাদের উপরে নির্মম নির্যাতন চালাতো এসআই মাজেদ ও তার গ্রুপ।
নিজ জেলা পটুয়াখালীর দুমকি থানায় কোন ভুক্তভোগী মামলা বা অভিযোগ নিয়ে গেলে, অভিযোগকারী বিপক্ষের কেউ হলে, জোর তদবির চালানো, নিজের পদবি গোপন রেখে সিনিয়র অফিসার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মহলে ক্ষমতার অপব্যবহার করতেন বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকার বংশাল থানায় কর্মরত এস আই মাজিদুল হক খাঁনের সাথে সরাসরি দেখা করে আলাপ কালে ছাত্রলীগের কর্মী থাকার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশে চাকুরি নিজ যোগ্যতায় পেয়েছেন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেনের সুপারিশে নয়। পটুয়াখালীতে কোন প্লট কিনেন নি । ছাত্র আন্দোলনে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছেন।