ব্যবসায়ী আমজদ আলীর উপর হামলার ঘটনায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সিলেট ২ (বিশ্বনাথ- ওসমানীনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরীকে প্রধান আসামী করে ১০৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৭০ জনকে অজ্ঞাত রেখে গতকাল বুধবার বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং১২। মামলার বাদী বিশ্বনাথ পৌর জামায়াতের ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি আমজদ আলী। তিনি বিশ্বনাথ পৌরসভার স্থানীয় রাজনগর গ্রামের আক্রম আলীর কনিষ্ঠ পুত্র।
ধারা,১০৯, ১১৪, ১৪৭, ১৪৮, ৩০৭, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৫, ৩২৬, ৩৪১ ও ৪৩৮।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী ।
বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম.নূনু মিয়া, বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহ আসাদুজ্জামান আসাদ, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল আহমদ মতছিন, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ আলী গণি, বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মকদ্দুছ আলী, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ, বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান সুইট, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শংকর চন্দ্র ধর, বিশ্বনাথ পৌরসভার কাউন্সিলর ফজর আলী, সিলেট জেলা যুবলীগের সদস্য সিতার মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা বশির আহমদ, তোফাজ্জুল ভান্ডারী,বিশ্বনাথ উপজেলা যুবলীগ নেতা রুহেল খান, খালেদ রব, আব্দুল হক, রফিক আলী, ছাত্রলীগ নেতা ফয়জুল ইসলাম জয়,সিরাজুল ইসলাম রোকন, রাজু আহমদ খান, শামীম আহমদ সহ বিশ্বনাথ উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা ও অঙ্গ সংগঠন সমূহের নেতা-কর্মী রয়েছেন।
গত ৪ঠা আগস্ট বিশ্বনাথ পৌর শহরের আল-হেরা শপিং সিটির ব্যবসায়ী ও জামায়াত নেতা আমজদ আলী নিজ বাড়ী থেকে মোটর সাইকেল যোগে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসার পথে পৌরশহরের বাসিয়া সেতুর উপর আসলে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন সমূহের নেতা-কর্মীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা ও মোটর সাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করেছেন বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।