ব্রাজিলের ভিসা সহজ হয়ে আসছে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য । ঢাকার ব্রাজিল দূতাবাস থেকে দেশটির ভিসা এখন সহজেই মিলবে।
সে লক্ষ্যে একটি ভিসা সেন্টার খোলার উদ্যোগও নিয়েছে দেশটি।
বাংলাদেশের নাগরিকদের ব্রাজিলের ভিসা নেওয়ার জন্য এক সময় দিল্লির ব্রাজিল দূতাবাসে যেতে হত। তখন বাংলাদেশে ব্রাজিলের কোনো দূতাবাস ছিল না। ঢাকায় ব্রাজিলের দূতাবাস খোলা হয় ২০১০ সালে। এরপর ২০১২ সাল থেকে ঢাকার ব্রাজিলের দূতাবাস বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া শুরু করে। এরপর থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ভিসা ইস্যুর সংখ্যা।
ভিসা খরচ কত- বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ব্রাজিলের ভিসার ফি ৯ হাজার ৬০০ টাকা। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার পর ব্রাজিলের ভিসা পেতে প্রায় ২০ দিন সময় লাগে।
ভিসা ছাড়াই ব্রাজিলে যেতে পারবেন যারা-বাংলাদেশের অফিসিয়াল ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই ব্রাজিলে যেতে পারবেন। ২০২২ সালের জুলাই মাসে তৎকালীন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ব্রাজিল সফর করেন। সে সময় দুদেশের মধ্যে এ নিয়ে একটি চুক্তি সই হয়।
ভিসার চাহিদা বাড়ছে-ব্রাজিলে বাংলাদেশি প্রবাসীদের সংখ্যাও বাড়ছে। বাংলাদেশি নাগরিকদের ব্রাজিলের ভিসার জন্য চাহিদা বাড়ছে। প্রতি মাসে ঢাকার ব্রাজিলের দূতাবাসে ২৫০-৩০০ ভিসার আবেদন জমা পড়ে। তবে ব্রাজিলের দূতাবাস প্রতি মাসে ১০০টির মতো ভিসা দিতে পারে। জনবল সংকটের কারণে এর বেশি ভিসা দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।
ভিসা সেন্টার খোলার উদ্যোগ-ভিসা চাহিদা মেটাতে ঢাকার ব্রাজিল দূতাবাস একটি ভিসা সেন্টার খোলার উদ্যোগ নিয়েছে। ভিসা সেন্টার খোলা হলে ভিসার চাহিদা দ্রুত মেটানো সম্ভব হবে বলে আশা করছে দূতাবাস। তবে কবে নাগাদ এ ভিসা সেন্টার খোলা হবে সেটা এখনো চূড়ান্ত নয়। ভিসা সেন্টার খোলার জন্য ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চেয়েছে দূতাবাস।
ভিসা নিয়ে যা বললেন রাষ্ট্রদূত-ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস বলেছেন, বাংলাদেশিদের ব্রাজিলের ভিসা আমরা খুব সহজে ও দ্রুত সময়ে দিতে চাই। ব্রাজিল ভ্রমণে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়ছে। যে-সব বাংলাদেশি ব্রাজিলে রয়েছেন, তারা তাদের পরিবারকেও সেখানে নিয়ে যেতে চান। সে কারণে ভিসার চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সেজন্য ঢাকায় একটি ভিসা সেন্টার খোলার উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই আমরা একটি ভিসা সেন্টার খুলতে পারবো বলে আশা করছি।