
রাইজিংসিলেট- শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং নেপালের মতো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সাম্প্রতিক গণবিক্ষোভ ও সরকার পতনের ঘটনার পর, ভারত সরকার আগেভাগেই সাবধানতা অবলম্বন করছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন—১৯৭৪ সালের পর ভারতে যত আন্দোলন হয়েছে, সেগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করতে হবে।
এই নির্দেশনার লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতে সম্ভাব্য বড় বিক্ষোভ ঠেকানোর জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরি করা। পুলিশ গবেষণা ও উন্নয়ন ব্যুরো (BPR&D)-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এ কাজের জন্য।
২০২৫ সালের জন্য ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজিস কনফারেন্স’-এ অমিত শাহ বলেন, আন্দোলনের মূল কারণ, অর্থায়ন, শেষ ফলাফল এবং পর্দার আড়ালের নেতৃত্ব বিশ্লেষণ করা দরকার। বিশেষ করে দেখা হচ্ছে আন্দোলনের পেছনে কোনো গোষ্ঠী বা শক্তি আছে কিনা যারা অস্থিতিশীলতা ছড়াতে চায়।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, BPR&D একটি গবেষণা টিম গঠন করছে যা রাজ্য পুলিশ, সিআইডি, এবং অর্থনৈতিক তদন্তকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করবে। এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ED), ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (FIU) এবং সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস (CBDT)-কে যুক্ত করে আন্দোলনের অর্থনৈতিক দিক খতিয়ে দেখা হবে।
এছাড়াও, বড় ধর্মীয় সমাবেশগুলোতে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর মতো ঘটনা রোধে আলাদা একটি গবেষণাও পরিচালিত হবে। সেখান থেকেও একটি এসওপি তৈরি করা হবে যাতে এসব সমাবেশ নিরাপদভাবে পরিচালনা করা যায়।