ভালোবেসে আপন করে নিতে পারেন মানুষকে, বলছি ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান সময়ের অন্যতম গ্ল্যামার নায়িকা পরীমণির কথা।
পরীমণির বৃহস্পতি যেন তুঙ্গে। কিছুদিন আগে কলকাতার পূজা মণ্ডপ ছেয়ে যায় তার সিনেমার পোস্টারে। সেই রেশ কাটতে নয়া কাটতেই আসলো ওয়েব সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’ মুক্তির পাচ্ছে।
রিল লাইফ থেকে রিয়েল লাইফ—দুই জায়গাতেই তাকে নিয়ে নানা সমালোচনা থাকলেও সব কিছুকে পেছনে ফেলে একজন সংগ্রামী নারী ও মমতাময়ী মা হিসেবেই এখন দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
বরিশালের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে সুপ্তি ও প্রদীপের সুখের সংসার। কিন্তু তাদের এই সুখ খুব বেশি দিন স্থায়ী হয় না। প্রদীপের অতীত ইতিহাসের কারণে একদিকে তার গ্যাংয়ের লোকজন, অন্যদিকে পুলিশ তাকে খুঁজে বেড়ায়। গর্ভবতী সুপ্তিও ছুটতে থাকে স্বামীর সঙ্গে। এমনই গল্প নিয়ে অনম বিশ্বাস নির্মাণ করেছেন ওয়েব সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) মধ্যরাতে এটি মুক্তি পাচ্ছে ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে।
কিঙ্কর আহসানের একই নামের একটি উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে এটি। উপন্যাসটি থেকে সিরিজ নির্মাণের নেপথ্যের কারণ জানিয়ে অনম বলেন, মূল কারণ উপন্যাসটির উপাদানগুলো। গ্যাংস্টার থ্রিলার কনটেন্ট দেখতে আমার ভালো লাগে। সেই জায়গা থেকেই মনে হতো, ঠিকঠাক গল্প পেলে আমিও এমন কনটেন্ট বানাব। “রঙিলা কিতাব”র কয়েকটা চ্যাপ্টার পড়ার পরই মনে হয়েছিল, গল্পটা পর্দায় আনতে পারলে দারুণ হবে। পরে কিঙ্কর আহসানের সঙ্গে আলাপ হয় এবং চিত্রনাট্যের কাজ গুছিয়ে ধাপে ধাপে কাজটা সম্পন্ন করি।
এর আগে, গেল ২৯ অক্টোবর ‘রঙিলা কিতাব’র ট্রেলার প্রকাশিত হয়। সেখানে সুপ্তি চরিত্রে পরীমণিকে দেখে অবাক হয়েছেন অনেকে। এমন চরিত্রে, পরিণত অভিনয়ে এর আগে তাকে দেখা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, এটি আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ। এই সিরিজটি করার আগে স্বপ্ন ছিল ভালো গল্পের একটি কাজ দিয়ে ওয়েবে নাম লিখাব। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে।
মা হওয়ার পর এটাই ছিল পরীর প্রথম কাজ। ‘রঙিলা কিতাব’-এ কাজ করা প্রসঙ্গে পরীমনি বলেন, আমি আমার দিক থেকে সবাইকে বলব অনেক বেশি পছন্দ করবেন ‘রঙিলা কিতাব’। এর সুপ্তিকে অনুভব করতে হলে মনোযোগ দিয়ে সিরিজটি দেখতে হবে। তাই সবাইকে আমি অনুরোধ করব সুপ্তি চরিত্রকে হৃদয় দিয়ে অনুভব করে ওয়েব সিরিজটি উপভোগ করার জন্য। এটা সত্যি এই ওয়েব সিরিজ নিয়ে যখন আমার সঙ্গে কথা হয় তখন আসলে কোনো কাজ নিয়ে ভাবনার জায়গায় ছিলাম না আমি। কারণ আমার বাচ্চার বয়স তখন দেড় দুই মাস। এই সময় বাবুকে রেখে শুটিংয়ে যাব, এটা ভাবতেই পারিনি। কিন্তু সেই সময় থেকে এক বছর পরেও যে এই সুপ্তি চরিত্রটি আমার জন্য বরাদ্দ ছিল, এটা সত্যিই পরম সৌভাগ্য। আমার মনে হয় সুপ্তি চরিত্রটি আমি ঠিকঠাক মতো করতে পেরেছি, বাকিটা আসলে দর্শকই ভালো বলতে পারবেন।
হইচই-এ সাত পর্বে মুক্তি পাবে সিরিজটি। যৌথভাবে এর চিত্রনাট্য লিখেছেন অনম বিশ্বাস ও আশরাফুল আলম শাওন।