ভোলা প্রতিনিধি::ফাইল আটকে ঠিকাদারদের কাছ থেকে অর্থ চাওয়া, সিনিয়রদের আদেশ নির্দেশ পালন না করা। অফিসে অনুপস্থিত, হাতের কাজ ফেলে বন্ধ রেখে মুঠোফোনে ঘন্টার পড় ঘন্টা আলাপ এবং অফিসে আসলেও লাঞ্চের কথা বলে ঘন্টার পর ঘন্টা বাহিরে থাকা’সহ নানা অভিযোগ উঠেছে ভোলা সদর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (উপজেলা এলজিইডি) অফিসের সহকারী হিসাব রক্ষক রাকেশ মজুমদারের বিরুদ্বে।
গত শনিবার ও রবিবার (১৭/১৮ মে) টানা ২ দিন ভোলা সদর উপজেলায় এলজিইডি অফিসে গিয়ে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
ভুক্তভোগী ঠিকাদার ও দেশের শীর্ষস্থানের গণমাধ্যম সাংবাদিকদের সংগঠন “জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন” ভোলা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আহসান অভিযোগ করে বলেন, জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নে এডিবি একটি রাস্তার কাজ বরাদ্দ নেন এবং কাজটি যথাযথ ভাবে সম্পূর্ণ করে বিল উত্তোলনের জন্য গত শনিবার সকালে উপ-সহকারী প্রকৌশলী শিউলি আক্তারের নিকট প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেই, শিউলি আক্তার সহকারী হিসাব রক্ষক রাকেশ কে কাগজপত্র রেডি করে বিল তৈরি করতে বলেন, কিন্তু রাকেশ সেগুলো কে পাত্তা না দিয়ে অফিসে অনুপস্থিত থাকেন। পরদিনও রাকেশ কে বিল রেডি করা হয়েছে কিনা তা জানতে শিউলি আক্তার তার মুঠোফোনে কল দিয়ে ঢেকে এনে জিজ্ঞেস করলে সে বিরক্তি কর অবস্থায় অফিস কক্ষ থেকে চলে যান। এর পরে আর সে অফিসে ফেরে নাই। তিনি আরো বলেন আমি একজন গণমাধ্যম কর্মী আমার সাথেই যদি তারা এমনটি করে তাহলে সাধারণ লোকদের সাথে এরা কি করে?
এদিকে ভুক্তভোগী সহ বেস কিছু ঠিকাদার দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, কাজ শেষ করে এসে বিল এর জন্য দিনের পর দিন অফিসে ধর্ণা দিতে হয়। অগ্রিম টাকা না দিলে কাগজ কথা শুনে না। সদর উপজেলার এই এলজিইডি অফিসে সিন্ডিকেট পর্যায়ে ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত অনিয়ম অপকর্ম বেড়েই চলেছে। সাংবাদিকরাও ছাড় পাচ্ছে না তাদের অদৃশ্য ক্ষমতার হাত থেকে। এদের অদৃশ্যের ক্ষমতা বন্ধ করা না গেলে ভবিষ্যতে লুটপাটের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পচিয়ে লাভ করবে উপজেলার এই এলজিইডি অফিস।
এদিকে ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিজ কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় এলজিইডি অফিস কক্ষে ঠিকাদারদের বসার স্থানে খোরার মত বাঁধা হয়ে উঠেছে রাকেশ। তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র মহলে, এ নিয়ে ভোলার মিডিয়া পাড়ায় চলছে জোর সমালোচনা।
সদর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোঃ আবু আশরাফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, আমি রাকেশ কে তার ভুলের জন্য বকাঝকা দিয়েছি ভবিষ্যতে এমনটি আর হবে না।
এবিষয় ভোলা জেলা এলজিইডি কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলিল এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমি উপজেলা প্রকৌশলীকে বলে দিয়েছি হিসাব রক্ষক রাকেশের বিরুদ্বে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য যাতে ভবিষ্যতে এমনটি আর না হয়।