
হোটেল পরিষ্কারের সময় ঝাড়ুদারের ময়লা যুবকের শরীরে পড়াকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের উত্তরপাড়া ও দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার মধ্যরাতে এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার আগে কয়েকটি দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ঘটনাটি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ঘটে ।
সোমবার (২৫ আগস্ট) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভৈরব সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব।
স্থানীয়রা জানান, রোববার রাত ১১টায় ভৈরব বাজারে এশা হোটেল নামে আবাসিক হোটেলের ঝাড়ুদার হোটেল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার সময় ইটের কণাসহ ময়লা পড়ে উত্তরপাড়া এলাকার এক যুবকের শরীরে। পরে ঝাড়ুদার ও হোটেল ম্যানেজারের সঙ্গে ওই যুবকের বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি তখনই সংঘর্ষে রূপ নেয়। রাত ১২টায় বাজারের সংঘর্ষটি ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার ওমান গ্রুপ ও দক্ষিণপাড়ার কসাই হাঁটির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
হোটেল ম্যানেজার মহিউদ্দিন জানিয়েছেন, ঝাড়ু দিতে গিয়ে ময়লা ছিটকে পড়েছে, কিন্তু যুবকের শরীরে লাগেনি। তারপর সে দলবল নিয়ে হোটেলে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। আমি প্রাণে বেঁচে গেলেও আহত হয়েছি।
অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার নাঈম মিয়া বলেন, ঝগড়ার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। রাস্তার পাশে দোকান থাকায় আমাদের ক্ষতি হয়েছে, আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি।
ভৈরব ফায়ার স্টেশনের অফিসার আজিজুল হক রাজন বলেন, মারামারি ও অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যায়। দুই ইউনিট এক ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মনমরা এলাকায় ১০টির মতো দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়, এতে দোকান মালিকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মনমরা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের যুবকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালীন কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে এবং রাস্তার পাশে থাকা প্রায় ১০টি দোকান আগুনে পুড়ে যায়।
ভৈরব সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তরপাড়া ও দক্ষিণপাড়ার দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দুইপক্ষের অভিযোগ যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।