
সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত মাটিজুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য ২য় বার ভূমি দান করলেন মাটিজুরা গ্রামের বড় বাড়ির বাসিন্দা, সমাজসেবী আলহাজ্ব মো. মাহমুদুর রহমান।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নগরীর উপশহরস্থ তার নিজ বাস ভবনে বিয়ানীবাজার সাব রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে সরকারে প্রচলিত নীতিমালা মোতাবেক ঘাটতি অবশিষ্ট ভূমি দানের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেন আলহাজ্ব মো. মাহমুদুর রহমান।
এসময় পরিবারের সদস্য ও আলহাজ্ব মো. মাহমুদুর রহমানের ছেলে মো. হোসেন আহমদ রুহেল উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হেলাল উদ্দিন, মো. সালিক আহমদ, প্রধান শিক্ষক মো. বেলাল উদ্দিন।
এসময় ভূমিদাতা আলহাজ্ব মো. মাহমুদুর রহমান এর ছেলে মো. হোসেন আহমদ রুহেল বলেন, এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলে এলাকার শিক্ষার্থীরা সহজে লেখাপড়া করতে পারবেন। এই এলাকার শিক্ষার মান আরো বৃদ্ধি পাবে। যারা এই বিদ্যালয়ের জন্য ভূমি দান করেছেন তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমি বিশ্বাস করি, এই উদারতা অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে সমাজের কল্যাণে এগিয়ে আসতে। একদিন এই বিদ্যালয় হবে শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র, এখান থেকেই তৈরি হবে সোনার মানুষ, যাঁরা দেশকে গড়ে তুলবেন উন্নত ভবিষ্যতের পথে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, আলহাজ্ব মো. মাহমুদুর রহমান ভূমি প্রদান করায় মাটিজুরা এলাকার শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা অর্জন করতে আর দূর-দূরান্তে যেতে হবে না। তারা সহজেই শিক্ষা অর্জন করতে পারবেন। তিনি বলেন, শিক্ষা হলো জাতির মেরুদণ্ড, আর সেই শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে বিদ্যালয়ের ভূমিকা অপরিসীম। একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে শুধু ইট-পাথর নয়, প্রয়োজন মানুষের আন্তরিকতা, উদারতা ও আত্মত্যাগ। আজ যিনি বিদ্যালয়ের জন্য নিজের মূল্যবান ভূমি দান করেছেন, তিনি শুধু একটি দানই করেননি-তিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি আলোকবর্তিকা জ্বালিয়েছেন। তাঁর এই মহৎ উদ্যোগে বহু শিশুর শিক্ষার দ্বার উন্মোচিত হবে, তারা জ্ঞান অর্জন করে সমাজ, দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই ভূমি দানের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন যে সমাজ ও দেশের উন্নয়ন কেবল সরকারের দায়িত্ব নয়, প্রত্যেক সচেতন নাগরিকের দায়িত্বও বটে। আমরা তাঁর এই দানের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।