সিলেট নগরীর পশ্চিম শেখঘাট এলাকায় বিআইডিসি জামে মসজিদ থেকে আসরের নামাজ পড়ে বাসায় যাওয়ার পথে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন হাফিজ আবদুল বাসিত নামের একজন ব্যক্তি। তিনি পশ্চিম শেখঘাট উত্তরণ ২৬ নং বাসার বাসিন্দা। সোমবার বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ৮ এপ্রিল বেলা আড়াইটার দিকে মাদকদ্রব্য পরিবহণ না করায় অপর এক হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
কলাপাড়া এলাকার মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে মো. বাবুল হোসেন, মনু মিয়ার স্ত্রীর মাজেদা বেগম ও মনু মিয়ার ছেলে সোহেল আহমদ ও আফরোজ ধারালো অস্ত্র দিয়ে এই হামলা চালায়। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহতাবস্থায় হাফিজ আবদুল বাসিতকে ওসমানী মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। আহত আবদুল বাসিতের মাথা ও শরীরে প্রায় ২০টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, ৮ এপ্রিল পশ্চিম শেখঘাটের প্রতিবন্ধী আবদুল খালিকের ছেলে মো. জাবেদ আহমদকে মাদক ব্যবসায়ী মো. বাবুল হোসেন, মাদেজা বেগম ও সোহেল আহমদ ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে কদমতলি এলাকায় এক ব্যক্তির কাছে যেতে বলে। এতে জাবেদ আহমদ অপারগতা প্রকাশ করলে নবাব রোড পয়েন্টে তাকে চাকু দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে মাদক ব্যবসায়ীরা। এসময় জাবেদ আহমদরে প্রতিবন্ধী পিতা এগিয়ে আসলে তাকেও তাকে আঘাত করে আহত করে সন্ত্রসীরা। আহতদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
তাছাড়া সন্ত্রাসীরা জাবেদ আহমদরে স্মার্ট ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৮ এপ্রিল কোতোয়ালি মডেল থানায় কলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা উপরোক্ত সন্ত্রাসীদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন প্রতিবন্ধী আবদুল খালিক। উক্ত মামলার স্বাক্ষী ছিলেন উত্তরণ ২৬ নং বাসার আসুক মিয়ার ছেলে হাফিজ আবদুল বাসিত। স্বাক্ষী হওয়ায় তার উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে সন্ত্রাসীরা। তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাসিতের উপর হামলা চালায়।
এদিকে স্থানীয়ভাবে জানা যায়, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, তারা যে কলোনীতে বসবাস করে ১২নং ওয়ার্ড সিলেট সিটি কর্পোরেশন পশ্চিম শেকঘাট ৫০ উত্তোরন কলোনীর মালিক জনৈক সালেক মিয়ার ছত্রচ্ছায়ায় ও তাকে কমিশন দিয়ে কলোনী থেকে নানা অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে মাজেদা সহ তার ছেলে ও ভাইয়েরা।
প্রতিবন্ধি আব্দুল খালিকের দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আজিজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি এবং মামলা রেকর্ড করা হয়। বর্তমানে আসামীদের গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।