রাইজিংসিলেট- লক্ষ্মীপুরের রামগতির মোহাম্মদ হোসেন (৪৬) দ্বিতীয় স্ত্রী ও চার সন্তান নিয়ে সংসার করছিলেন। হঠাৎ তার স্ত্রী পারুল নিখোঁজ হন। পরে রামগতি থানা পুলিশ অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে।
হোসেনের শ্বশুর ওই মরদেহ পারুলের বলে শনাক্ত করে মিথ্যা হত্যা মামলা করেন। মামলার সাত দিন পর নিখোঁজ পারুল ঢাকার এক ব্যবসায়ীর বাসায় আত্মহত্যা করে। অথচ ৭ দিন আগেই সাজানো হত্যা মামলায় আটক করে পুলিশ। শেষে মিথ্যা মামলায় ২৭ মাস কারাভোগ করার পর গত বছরের ডিসেম্বরে জামিন পান হোসেন।
এ ঘটনার বিচারের দাবিতে রোববার (১৬ এপ্রিল) এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ শ্বশুর, শাশুড়ি ও শ্যালকের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো.বেলায়েত হোসেন (রামগতি অঞ্চল) এর আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য আদেশ দেন।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এসআই আশরাফ উদ্দিন সর্দার বলেন, মোহাম্মদ হোসেন তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যা করেননি। তার স্ত্রী পারুল বেগম ঢাকার নিউ পল্টনের এক ব্যবসায়ীর বাসায় গৃহকর্মীর কাজে থাকাকালী জানালার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। দীর্ঘ তদন্তের পর মামলাটি মিথ্যা দায়ের করা হয়েছে মর্মে ২০১৯ সালের ১৬ আগস্ট আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিলের পর এবছর ৪ এপ্রিল আদালত চুড়ান্ত রিপোর্ট গ্রহণ করে আসামি মো. হোসেনকে স্ত্রী হত্যায় দায়ের হওয়া মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।