পূর্ব লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেলে অবৈধ অভিবাসী ধরতে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইউকে বর্ডার এজেন্সি ও পুলিশ।
যেখানে বেশিরভাগ সিলেটি লোকজন বসবাস করেন। ফলে সেখানে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বসবাসরত সিলেটিদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
প্রায় ৪ ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে।
অভিযান চলাকালীন সময়ে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অবৈধ অভিবাসীদের অনেককে দৌঁড়ে পালিয়ে যেতে দেখা যায়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুরেও হোয়াইট চ্যাপেল এলাকা হঠাৎ করে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে ইমিগ্রেশন পুলিশ ও সাধারণ পুলিশ , প্রায় ৬০ জন পুলিশ অংশগ্রহণ করে অভিযান চালায়। এসময় বন্ধ করে দেওয়া হয় রাস্তাঘাটের সবগুলো পয়েন্ট। একে একে তল্লাশি শুরু করা হয় দোকানপাট, রেস্টুরেন্ট ও খোলা জায়গার সাধারণ স্টলগুলোতে। বৈধ কাগজপত্রের তল্লাশি থেকে রেহাই পাননি সাধারণ পথচারীরাও।
এবারের অভিযানে অত্যাধুনিক ফেইস রিকোগনিশন ক্যামেরা ব্যবহার করে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। এর আগে এরকম যন্ত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়নি ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে।
পূর্বলন্ডনে বসবাসরত কয়েকজন সিলেটি বলেন- ইতিপূর্বে সেখানে এরকম বড় অভিযান কখনো হয়নি। এ অভিযানে কতজন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এখন পর্যন্ত সঠিক সংখ্যা জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, বৃটেনে বৈধ কাগজপত্র নেই এমন অভিবাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযানের আগাম ঘোষণা দিয়েছিলো দেশটির হোম অফিস।