
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাতবরণকারী গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের শহীদদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেছে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে নবগঠিত প্লাটফরম ‘জুলাই যোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা’র আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার জুলাই শহীদদের কবর জিয়ার করেন তারা। জিয়ারত শেষে শহীদদের পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন তারা।
এসময় শহীদ পরিবারের সদস্যগণ বিভিন্ন বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার কামনা করেন। তারা বলেন, দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হলেও জুলাই শহীদদের পরিবারের সদস্যদের চোখের জল এখনো শুকায় নাই। এজন্য জুলাই যোদ্ধাদের শহীদ পরিবারের পাশে থাকার আহ্বান জানান তারা।
এসময় সরকারী গ্যাজেটপ্রাপ্ত জুলাই যোদ্ধাদের নবগঠিত সংগঠন ‘জুলাই যোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা’র আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক লিটন আহমদ ও সদস্য সচিব নোমান আহমদের নেতৃত্বে কবর জিয়ারতকালে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সদস্য মোঃ ইকবাল হোসেন, এড.ফয়েজ আহমদ, আব্দুল জলিল, আব্দুল মানিক, মোঃ সাহেল আহমদ, মো: আব্দুল মালিক, রুমেল হাসান, ওসমান সুলতান, মোঃ রুমন আহমদ, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ ফারহান আহমেদ, মিজান আহমদ, মোঃ জালাল আহমেদ, মোঃ সানি আহমদ, মোঃ আজমল হোসেন, মিজানুর রহমান, সাফিয়ান চৌধুরী, শামীম, সালমান বিন সুয়াইব ও জাফর আহমদ প্রমূখ।
কবর জিয়ারত ও শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎকালে ‘জুলাই যোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা’র আহ্বায়ক লিটন আহমদ বলেন, আমরা জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং আহতদের দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করি। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন জুলাই গণঅভ্যুত্থান। যাদের জীবন ও রক্তের বিনিময়ে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে তাদের পরিবারের সাথে রাষ্ট্রযন্ত্রকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা উচিত। অন্যথায় শহীদের আত্মা কষ্ট পাবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে গণহত্যায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।