কিশোরী মোহন স্কুলের পদত্যাগকারী প্রধান শিক্ষক বহাল রাখার অপচেষ্টা সিলেট মহানগরীর কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পদত্যাগকারী প্রধান শিক্ষক গৌরা ঘোষকে বহাল রাখার অপচেষ্টা চলছে। পদত্যাগকারী ওই শিক্ষককে রক্ষায় কাজ করছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহ। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, এলাকাবাসী এবং পরিচালনার সাথে সংশ্লিষ্টরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সিলেটের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রেরিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, রাজনৈতিক প্রভাবের ছত্রছায়ায় দুর্নীতি ও লুটপাটকারী গৌরা ঘোষ গত ২৯ আগস্ট ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের একমাস অতিবাহিত হওয়া সত্বেও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিনহার আশ্রয়ে-প্রশয়ে তার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। বাসা থেকেই বিভিন্ন ফাইলে স্বাক্ষর দিচ্ছেন। এমনকি ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করছেন ওই পদত্যাগকারী শিক্ষক। অভিযুক্ত গৌরা ঘোষ ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দু’জনেই মৌলভীবাজারের বাসিন্দা ও পূর্ব পরিচিত।
তাদের এই সম্পর্কের বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয় গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের অভিভাবক, এলাকাবাসী ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে আযোজিত সভায়। এই সভায় অভিযুক্ত পদত্যাগকারী প্রধান শিক্ষক গৌরা ঘোষের পদত্যাগের বিষয়ে গুরুত্ব না দিয়ে তিনি তাকে রক্ষায় বিভিন্ন ফন্দি ফিকির করেন। দুর্নীতিবাজ প্রাক্তন এই প্রধান শিক্ষককে ছুটি দেখিয়ে ব্যাংক লেনদেনের বিষয়টি জায়েজ করাসহ পরিস্থিতি অনুকুলে নিতে পদত্যাগকারী প্রধান শিক্ষকের ছুটি দীর্ঘায়িত করে গৌরা ঘোষকে বহাল রাখার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। এই অবস্থা বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতিকে আরো ঘোলাটে করে তুলবে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এলাকাসী ও অভিভাবক সমাজ বিদ্যালয়ের স্বার্থে পদত্যাগকারী দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক গৌরা ঘোষের পদত্যাগপত্র অবিলম্বে কার্যকর করা এবং নিরপেক্ষ ব্যক্তি দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে বিদ্যালয়ের লুট হওয়া অর্থ উদ্ধারসহ এসব অপকর্মের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় নিলে শিক্ষার্থী ও জনতার আন্দোলনে ২৯ আগস্ট ব্যাক্তিগত কারন দেখিয়ে পদত্যাগ করেন দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক গৌরা ঘোষ। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে দেয়া পদত্যাগ পত্রে তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন ।