• ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শিল্পকলা একাডেমিতে শাবি অধ্যাপক আশ্রাফুলের বই প্রকাশ

risingsylhet.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৬, ২০২৩

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আশ্রাফুল করিমের ‘বৃহত্তর সিলেটের চা শ্রমিকদের কৃত্য-নৃত্য-ভাষা ও সংস্কৃতি’ শীর্ষক গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। গত অক্টোবর মাসে বইটি প্রকাশিত হয়। আসন্ন অমর একুশে বইমেলায় শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব স্টলে বইটি পাওয়া যাবে বলে জানা যায়।

বইটির রচয়িতা অধ্যাপক ড. মো. আশ্রাফুল করিম সম্প্রতি প্রকাশিত বইয়ের কপি হাতে পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রায় ১৬৭ টি চা বাগানের মধ্যে প্রায় ১৩৫টি চা বাগান (হবিগঞ্জ-২৫, মৌলভীবাজার-৯১ এবং সিলেট-১৯) বৃহত্তর সিলেটে গড়ে উঠেছে। এ সকল চা বাগানে বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার প্রায় কয়েক লক্ষ চা শ্রমিক যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছে। তাদের স্বতন্ত্র নৃতাত্ত্বিক, ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি নানান লোকজ সংস্কার, কৃত্যমূলক নৃত্য, স্বতন্ত্র ভাষা, সংগীত, লোকক্রীড়া, লোকবিশ্বাস, লোকচিকিৎসা, লোকসাহিত্য ইত্যাদি রয়েছে। আমার প্রকাশিত এ বইয়ে তাদের এসব বিষয় সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়া যাবে।

তিনি আরো বলেন, চা বাগানের সংস্কৃতি মূলত বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠী-ধর্ম-উৎসব পুজোপার্বণকেন্দ্রিক সংস্কৃতি। এ ধরনের সংস্কৃতি প্রায়ই ধর্মাচরণ প্রভাবিত এবং চা শ্রমিকদের আদি উৎসভূমির আচার-আচরণ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। মাঠ পর্যায়ে সংগৃহীত বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের সাহায্যে এই গ্রন্থে সন্নিবেশিত পাঁচটি অধ্যায় এবং তিনটি পরিশিষ্টে চা শ্রমিকদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির নানান দিক নিয়ে নিবিড় পরিচর্যা ও অত্যন্ত নিষ্ঠা সহকারে তথ্যনিষ্ঠ বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হয়েছে।

ড. আশ্রাফুল বলেন, ‘বৃহত্তর সিলেটের চা শ্রমিকদের কৃত্য-নৃত্য-ভাষা ও সংস্কৃতি’ গ্রন্থটিতে বৃহত্তর সিলেটের চা শ্রমিকদের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন তাত্ত্বিক দিক নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি অন্যান্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়েও আলোচনা সন্নিবেশিত হওয়ায় সকল শ্রেণির পাঠক ও গবেষকের পক্ষে একসঙ্গে চা শ্রমিকদের বিষয়ে সার্বিক দিক জানাতে পারবেন বলে জানান তিনি।

এছাড়া বৃহত্তর সিলেটের চা শ্রমিকদের কৃত্য-নৃত্য-ভাষা ও সংস্কৃতি গ্রন্থটি ভাষা ও সাহিত্য, সমাজকর্ম, সমাজবিজ্ঞান, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি, ইতিহাস, সঙ্গীত, নৃত্যকলা, নাট্যকলার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গবেষকদের গবেষণার কাজে আসবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

বার পড়া হয়েছে।