রাইজিংসিলেট- শুটকি না খেয়ে থাকতে পারবেন না? জেনে নিন স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়ানোর উপায়। শুটকি মাছ—বাংলাদেশের গ্রামীণ রান্নার একটি জনপ্রিয় উপাদান। গন্ধে অনেকেই বিরক্ত হলেও, স্বাদ ও পুষ্টিগুণের কারণে এর রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে রাসায়নিক মিশ্রণ ও সংরক্ষণের দুর্বলতার কারণে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—শুটকি আসলেই কতটা স্বাস্থ্যকর?
শুটকির গুণাগুণ কী? পুষ্টিবিদদের মতে, প্রাকৃতিকভাবে প্রস্তুতকৃত শুটকি মাছ প্রোটিনের এক শক্তিশালী উৎস। এতে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন ও ভিটামিন বি-১২। এসব উপাদান হৃদযন্ত্রকে সচল রাখে, হাড় মজবুত করে এবং রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
কিন্তু সমস্যা কোথায়? “আমরা যেসব শুটকি বাজারে পাই, তার অনেকগুলোতেই রাসায়নিক ফরমালিন, কীটনাশক বা অতিরিক্ত লবণ ব্যবহার করা হয়—যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।” এসব উপাদান কিডনি, লিভার ও স্নায়ুতন্ত্রের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
সতর্কতার সাথে শুটকি খেলে উপকারই বেশি
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘরে তৈরি বা ভ্যাকুয়াম প্যাকিং করা ব্র্যান্ডেড শুটকি—যা কোনো প্রিজারভেটিভ ছাড়াই শুকানো হয়—তা খাওয়া নিরাপদ। এছাড়া রান্নার আগে শুটকি গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখলে অতিরিক্ত লবণ বা কেমিক্যাল অনেকটাই দূর হয়।
কারা শুটকি এড়িয়ে চলবেন? যাদের উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি রোগ বা হৃদরোগ রয়েছে তাদের অতিরিক্ত লবণযুক্ত শুটকি এড়িয়ে চলাই ভালো। শিশুদের ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা রোধ করা উচিত।
উপসংহার: শুটকি একদিকে যেমন প্রোটিন ও খনিজের চমৎকার উৎস, অন্যদিকে অসচেতন ব্যবহারে তা হতে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। তাই সুস্থ থাকতে হলে বেছে নিন নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত শুটকি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—সতর্কভাবে খেলে শুটকি হতে পারে উপকারী খাবার, ভালো মানের শুটকি চেনার উপায়!
° গন্ধ কম ও সতেজ মনে হবে
° রঙ বেশি গা dark ় নয়
° কোনো পোকা বা ছত্রাক নেই
° হাত দিলে সহজে গুঁড়ো হয়ে যায় না