শেখ হাসিনা ভারত বসে বসে বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন বলেছেন,বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু দেশের মানুষ এখন সব বুঝেন। কোনো ষড়যন্ত্রেই আজ আর কাজ হবে না। ১৫ বছরের স্বৈরাচার সরকারকে হটিয়ে দেশের মানুষ তা প্রমাণ করেছেন।
রবিবার (২৫ আগস্ট) বিকালে সিলেট এয়ারপোর্ট এলাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতিবিনিময়কালে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
দেশের চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ফখরুল বলেন- দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনাকাঙ্ক্ষিত বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মানুষের দুর্ভোগ কমাতে কাজ করছে বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকার। এছাড়া বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলও বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন- রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে দিয়েছে। তিন-তিন বার এক তরফা নির্বাচন করে গনন্তন্ত্রকে নষ্ট করে দিয়েছেন হাসিনা। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস যোগ্য মানুষদের নিয়ে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠন করেছেন। দেশের পরিবেশ ঠিক করে দ্রুত নির্বাচন দিবেন। অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে সময় দিতে চায় বিএনপি। তাদের সব ধরনের সহায়তা করবে। যৌক্তিক সময় দিবো। অনেক জায়গায় সংস্কার। তবে তা দীর্ঘ নয়। এছাড়া অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কাছে বিএনপি ৩১ দফা সংস্কার-দাবি দিয়েছে, সেগুলো নিয়ে কাজ করবে তারা।
মতবিনিময়কালে ফখরুল আরও বলেন- ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করায় বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর ১ লক্ষ ৪৫ হাজার গায়েবি মামলা দিয়েছে। এসব মামলায় ৬০ লক্ষ আসামি রয়েছেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আকাশপথে মির্জা ফখরুল সিলেটে আসেন। পরে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মির্জা ফখরুল দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে হযরত শাহজালাল ও শাহপরাণ (রাহ.)-এর মাজার জিয়ারত করেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী, উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, উপদেষ্টা ও ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতাহ সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর এই প্রথম সিলেট সফরে এসেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
