ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২০ এপ্রিল ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শেরপুরে মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন

rising sylhet
rising sylhet
এপ্রিল ২০, ২০২৩ ৬:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বগুড়া প্রতিনিধিঃঃ বগুড়ার শেরপুর ভবানীপুর ইউনিয়নের আম্বইল গ্রামে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় স্থানীয় বাজারে সচেতন জনসাধারণের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রঘুনাথ শীল, আম্বইল গ্রামের আব্দুস সালাম, জসিম উদ্দিন বাচ্চু সুজন আলী প্রমূখ।
বক্তাদের অভিযোগ, আম্বইল বাগান পাড়া গ্রামের মৃত ভগিরত সিংহের ছেলে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সন্তোষ সিং দীর্ঘদিন ধরে মাদক গাঁজা ও ইয়াবার ব্যবসা করে আসছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত মাদকসেবীরা মাদক নিতে আসে। এর সাথে স্থানীয় তরুণ ও যুবকেরাও আসক্ত হয়ে পড়েছে।
রঘুনাথ শীল বলেন, প্রায় ৫ বছর ধরে সন্তোষ সিং এই এলাকায় মাদকের ব্যবসা করে আসছে। তিনি এই এলাকা ও আশেপাশে মাদক সরবরাহ করেন। এর ফলে এলাকায় প্রতিনিয়ত বাইরের লোকজন আসা যাওয়া করে। মাদকদ্রব্য সহজলভ্য হওয়ায় এলাকার বিভিন্ন বয়সের লোকজন আসক্ত হয়ে গেছ। এসব প্রকাশ্যে হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
মাদক ব্যবসায়ীর সাথে থানা পুলিশের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বক্তারা। এমনকি গাঁজা সহ আটক করে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগও করেছেন তারা।
আম্বইল গ্রামের আব্দুস সালাম ও জসিম উদ্দিন বাচ্চু বলেন, প্রায় ৬ মাস আগে শেরপুর থানার উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম সন্তোষ সিং সহ কয়েকজনকে আটক করে। সে সময় তাদের কাছ থেকে ৭৫০ গ্রাম গাঁজা পাওয়া যায়। এই ঘটনা এলাকার অনেকেই দেখেছেন। কিন্তু ১২ হাজার টাকার বিনিময়ে এর দফারফা করা হয়েছে।
এই ঘটনায় আটক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সেদিন আমরা কয়েকজন গাঁজা কেনার জন্য সন্তোষ সিংয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তখন গাঁজাসহ পুলিশের দারগা শফিকুল ইসলাম সন্তোষের সাথে আমাদেরকে আটক করেন। পরে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়। তবে আটক গাঁজাগুলো পুলিশ ও স্থানীয় চৌকিদার ভাগ করে নেয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে সন্তোষ সিং বলেন, মূলত এলাকার কিছু প্রতাপশালী ব্যক্তি আদিবাসীদের জমি দখল করা চেষ্টা করছে। এর আগেও তারা আমাদের উপর হামলা করেছে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের মোকাবেলায় আন্দোলন করছি। সেই আন্দোলন দমন করার জন্য তারা আমার উপর মিথ্যা দায় চাপাচ্ছে।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, আমরা এলাকায় মাদক নির্মূলে তৎপর আছি। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৯০ বার পড়া হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।