ঢাকাসোমবার , ১০ নভেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খেলার খবর
  6. গণমাধ্যম
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. দেশের খবর
  10. ধর্ম পাতা
  11. পরিবেশ
  12. প্রবাস
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সন্তানের ত্বক ও চুলের রংয়ের জন্য স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন এক যুবক

rising sylhet
rising sylhet
নভেম্বর ১০, ২০২৫ ৭:২৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ads

স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন মোজাফ্ফর হোসেন নামের এক যুবক। যশোর সদরের রামনগর ইউনিয়নের বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে,  বছর পাঁচেক আগে যশোর সদর উপজেলার বাউলিয়া চাঁদপাড়া গ্রামের মজিদ মোল্লার ছেলে মোজাফ্ফর হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় বাজুয়াডাঙ্গা পশ্চিমপাড়ার শহিদ মোল্লার মেয়ে মনিরা খাতুনের।

২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর এই দম্পতির ঘর আলো করে আসে শিশু আফিয়া। শিশুটি দেখতে আর পাঁচটা সাধারণ বাচ্চার মতো না হওয়ায় স্ত্রী ও মেয়েকে ত্যাগ করে প্রবাসী হন মোজাফফর। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মনিরা খাতুনকে তালাক দেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।

রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তাকে একটি দরখাস্ত দিতে বলেছি। স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, সামাজিক সুরক্ষার ৩০ কেজি চাল কিংবা বরাদ্দ পাওয়াসাপেক্ষে তার ঘর তৈরির বিষয়ে সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।

তবে শুরু মাত্র ত্বক ও চুলের রংয়ের জন্য এমন আচরণ করায় হতাশ এলাকাবাসী। শিশুটির ত্বক ও চুলের বিষয়ে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গোলাম মোর্তুজা বলেন, জেনেটিক্যালি ত্রুটির কারণে সাধারণত এমন হয়। আমাদের দেশে অনেক শিশুই আছে এমন। আলাদা করে চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। কেবল রোদে দৃষ্টিগত সমস্যা হয়। সান প্রটেকশান নিলেই ভালো থাকবে।

মনিরা বলেন, আফিয়া জন্মের পরপরই ওর বাবা আমাকে নানা অপবাদ দিতে শুরু করে। মেয়ে তার না। আমার অন্য কারো সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক ছিল। আমি বারবার বলেও তাকে বোঝাতে পারিনি। আস্তে আস্তে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে ৭ থেকে ৮ মাস পর আমাকে তালাক দিয়ে দেয়। এরপর আমার ও আমার মেয়ের কোনো খোঁজ নেয়নি।

তিনি জানান, ২০২৪ সালের ২১ মে স্থানীয়দের সহযোগিতায় একটি সালিশ হয়। সেই সময় স্বামী মোজাফফরের পক্ষে তার বড় ভাই আবু বক্কর আফিয়ার খরচ বাবদ প্রতি মাসে ১ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়ার অঙ্গীকার করেন; কিন্তু দুই বছর পার হলেও কোনো টাকা দেয়নি। ফলে সন্তানকে নিয়ে চরম দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন তিনি।

তবে আধুনিক যুগে নিজ সন্তানকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। প্রয়োজনে ডিএনএ (ডি-অক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড) পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব। তবে আফিয়ার বাবা সেটি করতে রাজি না। কাউকে না জানিয়ে সে বিদেশে চলে গেছে। তাই সবমিলিয়ে খারাপ সময় পার করছেন মনিরা।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।