
সম্পত্তিগত বিরোধ নিয়ে ছোট ভাই শাহজালাল খানের (৩৮) হাতুড়ির আঘাতে বড় ভাই খাজা আহমেদের (৫৭) মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে।
নিহত খাজা আহমেদ খান এবং অভিযুক্ত শাহজালাল খান ওই বাড়ির মৃত ওমর খানের ছেলে। নিহত খাজা আহমেদ আগে দুবাই প্রবাসী ছিলেন। বর্তমানে বাড়িতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তিনি দুই ছেলে এবং এক কন্যাসন্তানের জনক।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১১টার দিকে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব চাঁদপুর গ্রামের খাসের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর হাসপাতালে নিহতের তৃতীয় ভাই অলি উল্লাহ খান এর সঙ্গে।
অভিযুক্ত শাহজালালও আগে প্রবাসে ছিলেন এবং বর্তমানে অটোরিকশাচালক। শাহজালাল ৪ ভাইয়ের মধ্যে ছোট।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন সম্পত্তিগত বিরোধ নিয়ে শাহজালাল আমাকে আর নিহত ভাইকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। সম্পত্তির বিষয়ে শালিস বৈঠক হলেও শাহজালাল তা মানে না। রাত ১১টার দিকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শাহজালাল খাজা আহমেদকে মারধর করে এবং হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনার চেষ্টা করলে বড় ভাই নুর মোহাম্মদ খানসহ শাহজালাল বাধা দেয়। ১ ঘণ্টা পর রাত ১২টার দিকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি। রাত ১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফরিদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসা দেওয়া হলেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ্ আলম বলেন, জানতে পেরেছি সম্পত্তিগত বিরোধ নিয়ে ভাইদের মধ্যে মারামারি হয়। এক পর্যায়ে হাতুড়ি আঘাতে খাজা আহমেদের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। অভিযুক্ত শাহজালাল, নুর মোহাম্মদসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার পর ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন নিহতের স্ত্রী রুবি আক্তার। এরপর থানা থেকে পুলিশ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এসে সুরতহাল তৈরি করেন এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠান।