ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বদলে গেলে সিলেটে বিভিন্ন দোয়াল লেখনী। অভ্যুত্থানের নায়ক শিক্ষার্থীরা রঙে রঙে বর্ণাঢ্য করছেন পুণ্যভূমি সিলেটের দোয়াল। রাজপথ থেকে গলিপথ সবখানে সাম্যের বার্তা। অনেকেই এটিকে ‘লাল বসন্ত ’ বলছেন।
আন্দোলনে উত্তাল থাকা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মহানগরীর চৌহাট্টা, রিকাবীবাজার, শাহী ঈদগাহসহ এমসি কলেজ,সিলেট সরকারি কলেজ, দক্ষিণ সুরমা ডিগ্রী কলেজের দেয়াল ও নগরীর দেয়ালগুলোতে ছন্দে ও স্লোগানে জাগরণের বাণী তুলে ধরেছেন তারা। এ যেন আরেক জাগ্রত চেতনা। শিক্ষার্থীদের সেই সৃজনশীল কাজে উৎসাহ জোগাচ্ছেন সিলেটেবাসী। অনেকেই দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন।
সিলেটের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, পেশাদার শিল্পী না হয়েও শিক্ষার্থীরা প্রাণের এই শহরকে রংতুলিতে দেয়ালে দেয়ালে ফুটিয়ে তুলেছেন সংস্কারের নির্দেশনা, স্বাধীনতার জয়গান, তারুণ্যের উন্মাদনা, বিখ্যাত আরবি কবিতার অংশ, ক্যালিগ্রাফি, ভালোবাসার উচ্ছ্বাস ও মানুষ এবং মানবতার জয়গান।
‘স্বাধীনতা এনেছি সংস্কারও আনবো’ ‘গর্জে উঠলে ছাত্র সমাজ বদলে যায় ইতিহাস’, ‘চলছে রাষ্ট্র সংস্কার এগিয়ে আসতে হবে সবার’, ‘ট্রাফিক আইন মেনে চলি’, ‘বৈষম্যবিরোধী জনসমাজ গড়ে তুলি’, ‘৩৬ শে জুলাই’, মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম’, ‘বিকল্প কে-আমি তুমি আমরা’,।
নগরীর দেয়ালে দেয়ালে সবচেয়ে বেশী বাক্য দেখা গেছে সেটি ‘পানি লাগবে… পানি’। পাশেই লেখা মীর মুগ্ধ তুমি আছো বাংলার হৃদে তারুণ্যের প্রতীক হয়ে, কে আর বলবে, পানি লাগবে পানি? এই ছাত্র-জনতার ভীড়ে!
এ প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত থাকা সিলেটের সক্রিয় কর্মী ও এমসি কলেজের শিক্ষার্থী জুয়েল আহমদ সিলেটভিউকে বলেন, দেয়াল লিখনের মাধ্যমে আমরা পরিবর্তন ও সংস্কারের কথা বলছি।বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে চাই। সেই পরিকল্পনায় আমাদের এই সম্প্রতির শহরকে রঙে রঙে রাঙিয়ে তুলছি। আমরা যেহেতু স্বাধীনতা এনেছি সংস্কারও আনবো।