বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে রাজনৈতিক সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রীয় অনেক ক্ষেত্রে সংস্কারের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা কাজে লাগাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।ঔপনিবেশিক আমলের পুলিশ আইন ও বিধিমালা দিয়ে জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলা যাবে না।
এ সুযোগ হাতছাড়া হলে জাতিকে অনেক মূল্য দিতে হবে।
অন্তর্র্বতী সরকারের রাষ্ট্র সংস্কার কর্মসূচির উদ্যোগের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সংস্কার। এ কাজে সহযোগিতা করতে সুন্দরবন অঞ্চলের বিভিন্ন পেশা ও সম্প্রদায়ের নাগরিকদের অভিমত-সুপারিশ সংগ্রহ এবং লিপিবদ্ধ করতে এ পরামর্শ সভার আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তর-এর আয়োজনে নগরীর শিববাড়ি মোড়স্থ হোটেল সিটি ইনে পুলিশ রিফর্মবিষয়ক নাগরিক পরামর্শ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সভায় আইনজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, যুব ও নাগরিক নেতা, নারী নেত্রীসহ তৃণমূল পর্যায়ের অংশগ্রহণকারীরা দলীয় কাজের মাধ্যমে পুলিশ রিফর্ম বিষয়ে তাদের পরামর্শসমূহ উপস্থাপন করেন। দলীয় কাজ শেষে উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পুনম চক্রবর্তী, আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাসুম বিল্লাহ, সাংবাদিক গাজী মো. মনীর, প্রবীর বিশ্বাস, নাগরিক নেতা সৈয়দ আলী হাফিজ, ইকবাল হাসান তুহিন, আনোয়ারুল ইসলাম আনু, ঝুমুর, সুমাইয়া আক্তার, শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা, আলভী প্রমুখ।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বিপুল শাহরিয়ার ও খুলনা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব রাফিউল ইসলাম টুটুল। অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদিরের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন রূপান্তর-এর নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম খোকন। রূপান্তর-এর নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ অনুষ্ঠানের শেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
বক্তারা বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ক্ষমতায় গিয়ে পুলিশকে দলীয় লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করেন। এটা কাম্য নয়। ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার বিজয়ে সমাজকে বদলে দেওয়ার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা যেকোনো মূল্যে কাজে লাগাতে হবে। পুলিশ জনগণের সেবক হলেই একটি শান্তিময় সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে।