সরকারে পথন হলেও তামাবিল স্থল বন্দরে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র এখনো সক্রিয় রয়েছে । এরা সকলে সিলেট ৪ আসনের সাবেক মন্ত্রী (এমপি) ইমরান আহমদের লোক হিসাবে সর্বমহলে পরিচিত। সাবেক প্রবাসী ও বৈদেশীক কল্যানমন্ত্রী এমপি ইমরান আহমদের শেল্টারে তামাবিল স্থলবন্দরকে নিজের ব্যক্তিগত প্রতিষ্টানিক রুপ দিয়েছিলেন এসব ব্যবসায়ী নামের লুটতোরাজরা।
তামাবিল স্থলবন্দরে বিগত ১৬ বছরে কয়েক শত কোটি টাকা লুটপাট করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র।
কাষ্টমসের সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীরা ছিলেন তাদের কাছে অসহায়। কোন সরকারি কর্মকর্তা প্রতিবাদ করলে বা কথা বললেই তাদের দেখানো হতো মন্ত্রী ইমরান আহমদের ভয়। কারণ স্থলবন্দর এলাকায় ছিলো তাদের একক আধিপত্ব্য। মন্ত্রীর ভাগের অংশটি পৌছে দিতেন স্থানীয় ভাবে পরিচিত মন্ত্রীর প্রতিনিধি ফয়জুল ইসলামের কাছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তামাবলি স্থলবন্দর এলাকায় স্বঘোষিত ডন জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি সাবেক মন্ত্রীর সাবেক স্বঘোষিত এপিএস লিয়াকত আলী। লিয়াকত আলীর ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে অঢেল সম্পদের পাহাড়। লিয়াকত আলীর ক্ষমতার কাছে গোয়াইনঘাট জৈন্তাপুর থানা পুলিশ ছিলো নতজানো। তার সহযোগীদের মধ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক জালাল উদ্দিন। উপজেলা আওয়ামীলী নেতা সরোয়ার হোসেন (ছেদু) ও আওয়ামীলীগ নেতা ফারুক আহমদ ছিলেন বেশ সক্রিয়। সরকার দলীয় প্রভাব বিস্তার করে দীর্ঘদিন যাবত সাধারণ ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের অর্থআত্মসাৎ করে আসছিলেন।
কাস্টমস এলাকায় তারা লেবার হোল্ডিংয়ে নামে ১১শত টাকা সার্ভিস চার্জ নিতেন। প্রতি গাড়ি থেকে আরো ৫০০ টাকা নিতেন দলীয় চাঁদা। ট্রাকের মাল প্রতিটন ৪৭০ টাকা করে নিতেন বখরা। স্থানীয়রা বলেন, প্রতিদিন শুধু তামাবলি স্থলবন্দরের বিভিন্ন কর্মকর্তার সাথে আতাঁত তরে প্রতিদিন চক্রটি প্রায় ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা সংগ্রহ করতো মন্ত্রীর কথা বলে। ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলেও তামাবিল স্থলবন্দর এলাকায় এই চক্রটির প্রভাব কমেনি। সমান তালে চলছে তাদের লুটপাট।