
সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা বার্ধক্য ঠেকাতে নানা গবেষণায় ব্যস্ত, সেখানে শতবর্ষী এক পুষ্টিবিদ জানালেন কীভাবে সাধারণ জীবনচর্চার মাধ্যমেই বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখানো সম্ভব।
বার্ধক্য ঠেকাতে ১০১ বছর বয়সী পুষ্টিবিদ জানালেন জটিল চিকিৎসা নয়, সাধারণ জীবনযাপনেই লুকিয়ে যৌবন ধরে রাখার রহস্য।
জন স্কার্ফেনবার্গ ১০১ বছর বয়সেও যিনি সুস্থ, চনমনে ও কর্মক্ষম। আমেরিকার এই খ্যাতনামা পুষ্টিবিদ ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষক হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির প্রাক্তনী। বর্তমানে তিনি লোমা লিন্ডা ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা ও গবেষণার সঙ্গে যুক্ত। বার্ধক্যজনিত কোনো রোগে তিনি আক্রান্ত নন, এখনও প্রতিদিন শরীরচর্চা করেন, দৃষ্টিশক্তিও প্রখর।
সম্প্রতি ইউটিউবে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জন স্কার্ফেনবার্গ জানান, কোনো ধরনের অ্যান্টি-এজিং ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট ছাড়াই কেবল জীবনযাপন পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেই তিনি এ দীর্ঘ জীবনের অধিকারী হয়েছেন। তিনি শেয়ার করেছেন যৌবন ধরে রাখার সাতটি সহজ অথচ কার্যকর পদ্ধতি—
নিয়মিত শরীরচর্চা-জিমে না গিয়েও শরীরচর্চা করা যায়—এটাই প্রমাণ করেছেন জন। প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি, বাগান করা, সাঁতার কাটা কিংবা যোগাভ্যাসে বিশ্বাসী তিনি। প্রকৃতির মাঝে এসব অনুশীলনই তাঁকে রেখেছে সতেজ ও ফিট।
রাতের খাবার পরিহার-রাতে উপোস করলে পাকস্থলী বিশ্রাম পায়, বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং শরীরে ইনসুলিন হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে হৃদ্যন্ত্র ও পরিপাকতন্ত্র থাকে সুস্থ।
চিনি থেকে দূরে থাকা-চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার শরীরের হরমোন ভারসাম্য নষ্ট করে। জন জানান, বছরের পর বছর এই অভ্যাস ছাড়ার ফলেই তাঁর হরমোনজনিত সমস্যা হয়নি।
ধূমপান নয়-নিকোটিন ও তামাকজাত দ্রব্য একেবারে বর্জনীয়। ধূমপান বন্ধ করলে শরীরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায় এবং কোষের পুনর্গঠন শুরু হয়। এতে হৃদ্যন্ত্র, কিডনি ও মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে।
জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলা-ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার, ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত ও ভাজাপোড়া খাবার শরীরের বার্ধক্য ত্বরান্বিত করে। এসব একেবারেই বাদ দিয়েছেন তিনি।
মদ্যপান ত্যাগ-মদ্যপান হৃদ্রোগ, ক্যানসার, কিডনি সমস্যা ও লিভারের রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। কম বয়স থেকেই মদ্যপান বন্ধ করা গেলে বার্ধক্যে নানা জটিল রোগ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
নিরামিষ আহার-২০ বছর বয়স থেকে মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, ফল, শাকসবজি, বাদাম ও বীজ খেয়েই শরীরের শক্তি বজায় রেখেছেন শতবর্ষেও।
আমেরিকার খ্যাতনামা পুষ্টিবিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. জন স্কার্ফেনবার্গ, যিনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির প্রাক্তনী এবং বর্তমানে লোমা লিন্ডা ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা ও অধ্যাপনায় নিয়োজিত। শতবর্ষ ছুঁলেও তিনি একদম সুস্থ, নীরোগ, চনমনে এবং কর্মক্ষম।
সম্প্রতি ইউটিউবে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে শতায়ু এই বিশেষজ্ঞ জানালেন কোনো ধরনের ‘অ্যান্টি-এজিং’ ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট ছাড়াই তিনি কীভাবে যৌবনের শক্তি ধরে রেখেছেন। তুলে ধরলেন যৌবন ধরে রাখার সাতটি সহজ কিন্তু কার্যকর পদ্ধতি।
এই সাতটি সহজ জীবনপদ্ধতি মেনে চললে যে কেউ দীর্ঘদিন যৌবনের শক্তি ধরে রাখতে পারবেন এমনটাই বিশ্বাস করেন শতবর্ষী এই পুষ্টিবিদ। ড. জন স্কার্ফেনবার্গের জীবনযাপন ও পরামর্শ অনুসরণ করলেই দীর্ঘ জীবন, সুস্থতা ও যৌবনের গতি ধরে রাখা সম্ভব এমনটাই বলছেন স্বাস্থ্যবিশারদরা।