আব্দুল আলিম, সাপাহার নওগাঁ প্রতিনিধি- পবিত্র রমজান মাসের শেষ মুহূর্তের ঈদের কেনাকাটায় বাচ্চাদের পোশাকের চাহিদা তুলনামূলকভাবে বেশি। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের একটিই বড় বাজার সাপাহার সদরে সরেজমিনে গত শনিবার ঈদের শেষ মুহূর্তের কেনাকাটার উৎসব দেখা গেছে । যদিও দিনের বেলায় কাষ্টমারের ভিড় দেখা গেলেও ইফতারের পর ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়ে শপিং সেন্টার গুলো।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ক্রেতারা তাদের সাধ্যের মধ্যে ঈদের পোশাক খুঁজছেন। তবে ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, সব কিছু বিবেচনায় গত বছরের তুলনায় এবার ব্যবসা ভালো হবে।
অপরদিকে উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটের দর্জি, ট্রেলার্স ও কারিগররা পাঞ্জাবি, ফতোয়া, শার্ট ও প্যান্ট তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ক্রেতা আশিকুর রহমান জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না তার প্রভাব পড়েছে ঈদের বাজারে। যদিও উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতিতে শপিং মল গুলোতে জমে উঠছে কেনাকাটা। বেশি ভাগ দোকানে শিশু বাচ্চাদের ও মেয়েদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা এনজিও কর্মী আনিছুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঈদের সময় কেনাকাটার মজাই আলাদা। তবে বর্তমানে সব কিছুর মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য এখন খেয়ে পরে বেঁচে থাকার সংগ্রাম। তারপর ও ছোট বাচ্চাদের ঈদের আনন্দকে ধরে রাখতে তাদের জন্য সামান্য কিছু কিনতে এসেছি।
বিভিন্ন ধরনের ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রেডিমেট কাপড় ও থ্রি পিসের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। দামের কারণে অনেকেই পছন্দের পোশাক কিনতে না পেরে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। অনেকেই ফুটপাত এবং হকারদের মার্কেটে ভিড় করছেন।
এবার ঈদে মহিলা ও শিশুদের পোশাকের চাহিদা তুলনামূলকভাবে বেশি। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মহিলাদের পোশাকের মধ্যে থ্রি পিস, বোরকা, লেহেঙ্গা, হিজাব, স্কাপসহ সব ধরনের কাপড়ই ক্রেতারা কিনছেন। শাড়ির বেচাকেনাও চলছে।
ঈদকে সামনে রেখে নিত্য নতুন ডিজাইনের পোশাক নিয়ে নিজেদের সাজিয়ে নিয়েছে উপজেলার ছোট বড় দোকানগুলো। স্বল্প আয়ের মানুষদের ভরসাস্থল ফুটপাতের ব্যবসায়ীরাও জামা কাপড় জুতো স্যান্ডেল নিয়ে প্রস্তুত। জরি পাথর কাঁচ চুমকীর কাজ করা জমকালো পোশাক শোভা পাচ্ছে দোকানগুলোয়।
সাপাহার উপজেলা সদরের নিউ মার্কেট মৌ ফ্যাশন এর স্বত্বাধিকারী সুইট সরকার বলেন, এবার ঈদের শেষের দিনগুলোতে ক্রেতারা কাপড়ের দোকানগুলিতে কেনাকাটার জন্য ভিড় জমাচ্ছে । তবে শেষ কয়েক দিনের বেচাকেনায় ব্যবসা ভালো হবে বলে আশা করছি ।
এছাড়াও অনেকেই পছন্দের কাপড় কিনে ভিড় জমাচ্ছেন দর্জি বাড়ি ও পছন্দের টেইলার্সে পাঞ্জাবি, ফতোয়া, শার্ট ও প্যান্ট তৈরির জন্য । টেইলার্স মালিক হাসান বলেন, এই ঈদে অর্ডার আছে তাই দর্জিরা নিয়মিত গভীর রাত পর্যন্ত কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন । ঈদের আগে সব অর্ডার ডেলিভারি করবো ইনশাআল্লাহ।