 
সালমান শাহের হত্যা ইস্যুতে বার বার দুইটি নাম শোনা যাচ্ছে। একজন সালমানের স্ত্রী সামিরা হক ও তার বন্ধু ডন। পুলিশ জানিয়েছেন মামলার আসামি সাবেক স্ত্রী সামিরা হক এবং খলনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল হক ডন দেশেই আছেন। তবে তাদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানা যায়নি। এ পর্যন্ত ৪টি তদন্ত সংস্থা সালমানের মৃত্যুকে আত্মহত্যা উল্লেখ করে প্রতিবেদন দিলেও নতুন করে হত্যা মামলা করেছেন তার মামা।
এদিকে ১৯৯৭ সালে এক আসামির জবানবন্দি ঘিরে মামলা নতুন মোড় নিয়েছে।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে এক অমর নাম সালমান শাহ। মাত্র চার বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়ে কোটি দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। তবে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তার আকস্মিক মৃত্যু এখনো রয়ে গেছে রহস্যে ঘেরা। ভক্তদের দাবি সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু একাধিক তদন্তে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলা হয়েছে।
এদিকে, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহর মৃত্যুর পর রমনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। তবে, গত ২০ অক্টোবর ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক বাদীপক্ষের করা রিভিশন মঞ্জুর করে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২১ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন সালমান শাহর মামা মোহাম্মদ আলমগীর। মামলায় সালমান শাহর স্ত্রী সামীরা হকসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার ১১ নম্বর আসামি রেজভি আহমেদ ফরহাদ জানান, সালমানকে হত্যার পর আত্মহত্যার ঘটনা সাজানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করেন রেজভি।
ডিএমপি ডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, যাদের বিরুদ্ধে এজাহারে নাম রয়েছে তদন্তের স্বার্থে আমরা তাদের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। অবস্থান শনাক্ত করতে পারলে হয়তো আমরা তাদের কাছ থেকে মামলার তদন্তের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে পারব। এ ক্ষেত্রে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হবে।
পুলিশ বলছে, সামিরা ও ডন দেশেই আছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানা না গেলেও তদন্ত চলছে।
 
 
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                 
                                 
                                 
                                