ঢাকাশুক্রবার , ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খেলার খবর
  6. গণমাধ্যম
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. দেশের খবর
  10. ধর্ম পাতা
  11. পরিবেশ
  12. প্রবাস
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সালিশি দরবারে কথাকাটাকাটির জেরে দুপ ক্ষে র সং ঘ র্ষে নি হ ত এক

rising sylhet
rising sylhet
এপ্রিল ১৮, ২০২৫ ৫:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ভৈরবে সালিশি দরবারে কথাকাটাকাটির জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে মিজান মিয়া নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।

 

নিহত ব্যক্তি সোলাইমানপুর মইদুর মুন্সিবাড়ির মৃত রবিউল্লাহ মিয়ার ছেলে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অপু ও দুধ মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

 

এ বিষয়ে ভৈরব-কুলিয়ারচর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. নাজমুস সাকিব বলেন, ভবানীপুরে আগে একটি সংঘর্ষ হয়। এ নিয়ে শুক্রবার সকালে গ্রামের নেতারা সালিশি দরবারে বসেন। এ সময় কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে দুই বংশের লোকজন আবারও সংঘর্ষে জড়ায়। এতে টেঁটার আঘাতে একজন নিহত হন। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

জানা যায়, ৫৬ বছর ধরে চলছে ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপি গ্রামে কর্তা বাড়ি ও সরকার বাড়ির দুই বংশের দ্বন্দ্ব। দুপক্ষের এ দ্বন্দ্বের আগে আরও ১৪ জন খুন হয়েছেন। নিহতের ঘটনায় করা মামলায় উভয়পক্ষের লোকজন জামিনে বাড়ি এলে ১৫ এপ্রিল দুপুরে তাদের মধ্যে আবার সংঘর্ষ হয়। এতে ভবানীপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন বংশের লোকজন অংশ নেন। এ সময় উভয়পক্ষের ৫০ জন আহত হন। ওইদিন রাতেই মৌটুপির ঘটনার জেরে পার্শ্ববর্তী গ্রাম ভবানীপুরেও সংঘর্ষ হয়। এতে বুদুর গোষ্ঠী অংশ নেয় মৌটুপি গ্রামের কর্তা বাড়ির পক্ষে ও সোলাইমান পুরের মইদর মুন্সিবাড়ির লোকজন অংশ নেন সরকার বাড়ির পক্ষে। পরে বিষয়টি মীমাংসার জন্য শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ভবানীপুরের সালিশি দরবার হয়। এ সময় ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষের লোকজন। এতে প্রতিপক্ষের টেঁটার আঘাতে সোলাইমান পুরের মইদর মুন্সিবাড়ির মিজান মিয়া নামে একজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

এ বিষয়ে নিহতের ভাই পারভেজ মিয়া বলেন, আমার ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ি মোটুপি গ্রামে। সেখানে অনেক বছর ধরে ঝগড়া মারামারি এমনকি অনেকে খুনও হয়েছেন। কয়েকদিন আগে সেখানে দুই বংশের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ বিষয়টি আমাদের ভবানীপুর গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। আজ সকালে ভাবানীপুর গ্রামের নেতাদের সহায়তায় মীমাংসা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সালিশি দরবারে আমাদের গ্রামের দুপক্ষের বাগবিতণ্ডায় একপর্যায়ে সংঘর্ষে আমার ভাইকে বুদুর গোষ্ঠীর লোকজন মেরে ফেলেছে। আমার ভাই তিন সন্তানের জনক। তিনি ডেকোরেশন কর্মী ছিলেন। আমরা এর বিচার চাই।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।