
রাইজিংসিলেট- সিলেটের মানব পাচার দমন ট্রাইব্যুনালে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বর্তমানে অবসরে থাকা এসআই হারুন মজুমদার অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত থাকতে পারেননি। ফলে তিনি ঢাকার ডেমরা থানায় উপস্থিত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সিলেটের আদালতে যুক্ত হন।
মঙ্গলবার (গতকাল) এই সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। আদালত সূত্রে জানা গেছে, তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতির প্র্যাকটিস নির্দেশনা অনুসরণ করে সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্যগ্রহণ পরিচালনা করেন পিপি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল খালিক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই সাক্ষীকে জেরা করেন। প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয় মানব পাচারবিরোধী সংগঠন জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার। তাদের প্রতিনিধি চয়ন দাস পুরো প্রক্রিয়ায় সহায়তা করেন। সাক্ষ্য গ্রহণের সময় জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের প্যানেল আইনজীবী ফকরুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এটি সিলেটের আদালতের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। মানব পাচার মামলায় এই ধরনের ডিজিটাল সাক্ষ্যগ্রহণ নতুন একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৪ আগস্ট সিলেটের শাহপরান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। অভিযানে এক শিশু ও তিন নারীকে উদ্ধার করা হয়, যাদেরকে আটকে রেখে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। মামলার তদন্ত করে তৎকালীন এসআই হারুন মজুমদার চারজনকে আসামি করে চার্জশিট জমা দেন। পরবর্তীতে মামলাটি মানব পাচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয় এবং বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।