ঢাকাবুধবার , ২০ আগস্ট ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খেলার খবর
  6. গণমাধ্যম
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. দেশের খবর
  10. ধর্ম পাতা
  11. পরিবেশ
  12. প্রবাস
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সিলেটে অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলনে জড়িত প্রভাবশালীরা, মামলায় নেই আসামির নাম!

rising sylhet
rising sylhet
আগস্ট ২০, ২০২৫ ৭:২২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ads

সিলেটের বিভিন্ন পাথর কোয়ারি থেকে পাথর ও বালু লুটের ঘটনায় সারাদেশজুড়ে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা। এরই মধ্যে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে ওএসডি করা হয়েছে এবং কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন নাহারকেও বদলি করা হয়েছে। তবে একই কারণে এক মাস আগে বদলি হওয়া গোয়াইনঘাটের ইউএনও রতন কুমার অধিকারীর বদলির আদেশ রহস্যজনকভাবে প্রত্যাহার করা হয়।

এই লুটপাটের ঘটনায় রাজনৈতিক দলের নেতা থেকে শুরু করে প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা পর্যন্ত জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। জাফলংয়ে পাথর লুটের ঘটনায় ১০০ থেকে ১৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হলেও নাম উল্লেখ না করায় স্থানীয়রা মনে করছেন—এটি প্রকৃত অপরাধীদের রক্ষার কৌশলমাত্র।

আরও পড়ুন —জাফলংয়ের ইসিএ এলাকা থেকে পাথর লুট: আরও একটি মামলা, গ্রে প্তা র নেই

উদ্ধার অভিযান চলছে, অভিযুক্তের নাম নেই !

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ৭ থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিন দিন জাফলংয়ে ব্যাপক পাথর লুট হয়েছে। এ ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানায় মামলা করেন উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল মুনায়েম (মামলা নম্বর: ২৯, তারিখ: ১৮/০৮/২০২৫)। মামলায় বলা হয়, ৫০-৬০টি বারকি নৌকা ও বিপুল শ্রমিক দিয়ে প্রায় ৪০ হাজার ঘনফুট পাথর লুট করা হয়। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে মাত্র ২২ হাজার ঘনফুট।

এছাড়া শ্রীপুর এলাকার রাংপানিতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩৫ ট্রাক বালু ও ৯ হাজার ৫০০ ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়, যা নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা হয়েছিল। জব্দকৃত মালামাল নিলামে বিক্রি এবং ক্রাশার মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

 

আরও পড়ুন —সিলেটের সাদাপাথর লুট: তিন স্তরের সিন্ডিকেটের গোপন বাণিজ্য

অভিযানে পরিবর্তন আনছে লুটের কৌশল,প্রতিদিন অভিযান চললেও থেমে নেই বালু-পাথর লুট। এবার নিলামের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কানাইঘাটের লোভা নদীতে পাথর উত্তোলন চলছে। যেখানে সরকার ২০২০ সালেই কোয়ারি বন্ধ ঘোষণা করেছিল। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, নিলামের পাথর সরানোর অজুহাতে নতুন করে নদী খনন করা হচ্ছে। এতে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার সম্পৃক্ততার কথাও উঠেছে।

বদলি হওয়া জেলা প্রশাসক মাহবুব মুরাদ জানান, নিলামে পাথর সরানোর জন্য বরাদ্দ ৭৫ দিনের মেয়াদ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে, ফলে নতুন করে পাথর উত্তোলনের বৈধতা আর নেই।

পূর্বের লুটপাট, প্রশাসনের অভিযানে জব্দ,শ্রীপুর, জাফলং ও আসামপাড়া এলাকায় আগের বছরগুলোতেও পাথর লুট হয়েছে। এসব ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে পাথর জব্দ করা হয়। প্রশাসনের দাবি, লুটপাট বন্ধ ও উদ্ধার অভিযানে নিয়মিত তৎপরতা অব্যাহত আছে।

মামলার পরিসংখ্যান ও অভিযোগ,সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ১২টি মামলায় ১৯১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, যার মধ্যে একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। পুলিশের ১৯টি মামলায় ৬০ জন এবং টাস্কফোর্সের অভিযানে ৫২ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। বিএমডির এক মামলায় দেড় হাজারেরও বেশি ব্যক্তির নাম থাকলেও গ্রেপ্তার হয়েছে মাত্র ৫ জন।

আরও পড়ুন —উৎমা ছড়ার পাথর-বালু গায়েব : স্থানীয়রা দায়ী করছেন ফরহাদ সিন্ডিকেটকে

স্থানীয় ও পরিবেশবাদীদের অভিযোগ—২০২৪ সালের আগস্টের পর পুলিশের নজরদারি কমে গেলে বিভিন্ন কোয়ারিতে অবৈধ পাথর উত্তোলন ব্যাপক হারে শুরু হয়। জাফলং, বিছনাকান্দি, ভোলাগঞ্জ, শাহ আরেফিন টিলা, উৎমাছড়া, শ্রীপুর, সারী নদী, বাওন হাওর, আদর্শগ্রাম, লোভাছড়াসহ সব জায়গায় এক বছরের ব্যবধানে প্রায় পাথরশূন্য হয়ে গেছে এসব এলাকা।

প্রশাসনের নিয়মিত অভিযানের পরও থেমে নেই অবৈধভাবে বালু ও পাথর লুটের ঘটনা। মামলার সংখ্যা বাড়লেও প্রকৃত অপরাধীরা থেকে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রশাসনিক বদলির মাঝেও প্রকৃত জবাবদিহি এখনও অনুপস্থিত—যা পরিবেশ ও পর্যটনের জন্য এক বড় হুমকি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।