সিলেটের বেশীরভাগ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা লাপাত্তা রয়েছেন। অন্তর্র্বতীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সিলেটের আদালত ও বিভিন্ন থানায় পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হচ্ছে। মামলায় ক্ষমতাচ্যুত দলের নেতাকর্মীসহ পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিরা আসামি হচ্ছেন।
এদিকে গত ১৯ আগস্ট সিলেট মহানগরীর শাহপরাণ (রহঃ) থানা একটি মামলা দায়ের করেন হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মাখন দাশের ছেলে দিবাকর দাশ (২৬)। তিনি বর্তমানে নগরীর শিবগঞ্জ লামাপাড়া মোহিনী-৬৬ বাসায় বসবাস করছেন।
এই মামলার বিষয়ে আজ শনিবার (২৪ আগস্ট) শাহপরাণ (রহঃ) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশীদ বলেন, এই মামলায় এখনও পর্যন্ত কাওকে গ্রেফতার করা হয়নি।
এই মামলায় আসামি করা হয়েছে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, ৩৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সিলেট জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, যুবলীগ নেতা সামাদ আহমেদ, কামরুল ইসলাম, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠুসহ ৪০-৫০ জন।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, গত ৪ আগস্ট বিকাল ৩টায় সিলেট তামাবিল মহাসড়কের শিবগঞ্জ ফরহাদখা পুলে আসমিরা আমরা ২৫/৩০ জনকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়। এসময় সাধারণ জনগনের উপরে গুলি ছুঁরলে আমার মাথা, পিঠে, ডান হাতে কব্জিতে গুলি বৃদ্ধ হয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। তখন আমি মারাত্মক রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়া পড়লে তারা লোহার রড, জিআই পাইপ, হকিষ্টিক, স্ট্যাম্প, রাবার বেল্ট, স্টিক এবং লাঠিসোটা দিয়ে আমাকে জখম করে। পরে আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এই মামলা দায়ের করলাম।