সিলেটে এসআই শাহিনের চাঁদাবাজী কমিশনারসহ বিভিন্ন দপ্তরে ব্যবসায়ীর অভিযোগ।
সাধারণ মানুষ বিপদে পড়লে ন্যায় বিচার পাবার আশায় পুলিশের দ্বারস্ত হয়। আবার সেই পুলিশ যদি হয়ে যায় কারো জীবন নাশের কারণ তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়। সিলেট এসএমপির ডিবি ইউনিটে সদ্য বদলী হয়ে আসা এসআই শাহিন কবিরের (সাবেক শাহপরাণ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি)র চাঁদাবাজী, একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী আর প্রাণ নাশের হুমকিতে জীবন সংঙ্খ্যায় ভোগছেন সিলেট মহানগরীর টায়ার ব্যবসায়ী মাসুম আহমদ (৩১)।
সহজ সরল ব্যবসায়ী মাসুম আহমদ সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার সোনাসার গ্রামের আব্দুল মজিদের পুত্র। তিনি সিলেট জেলা বাস মালিক সমতিরি সদস্য। এছাড়া দীর্ঘ দিন থেকে সিলেট মহানগরীর দক্ষিণ সুরমার কদমতলীর ইয়াসিন প্লাজায় মেসার্স আলোকিত ট্রেডার্স নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্টান পরিচালনা করে আসছেন। বিগত কয়েক মাস থেকে সদ্য সাবেক শাহপরাণ থানার সুরমা গেইট পুলিশ ফাঁড়ি থেকে এসএমপির ডিবিতে বদলী হয়ে আসা এসআই শাহীন কবিরের চাঁদাবাজীতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন।
চাঁদার টাকা না দেওয়া তিনি এ পর্যন্ত ৩টি মিথ্যা মামলার আসামী হয়ে রয়েছেন আদালতের জামিনে। ব্যবসায়ী মাসুম অভিযোগ করেন শাহিন কবির তার কাছ থেকে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা মামলা ও হত্যার হুমকি দিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। যতদুর জানা যায়, ফাঁড়িতে থাকা অবস্থায় শানি কবির স্থানীয় চোরাকারবারি, টিলাকাটা,মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারীদের সাথে গভির সখ্যতা গড়ে তুলেন। টিলাকাটার একটি অভিযোগে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে এসএমপি দক্ষিণ জোন থেকে জেলা ডিবিতে শাস্তিমূলক বদলী করা হয়। কিন্তু এখানে আসার পর পাল্টেনি শাহিন কবিরের চরিত্র। মহানগর ডিবি যখন এসএমপি এলাকায় নানা রকম অপরাধের সাথে যুদ্ধঘোষনা করে নির্র্মূলের চেষ্টা কওে যাচ্ছে সেই সময় ডিবিতে আসার পর উর্দ্বতন অফিসারদের নাম ভাঙ্গিয়ে ওপেন চাঁদাবাজি শুরু করেছেন। গেলো ঈদ সালামীর নামে মাসুম নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন এসআই শাহিন।
মিথ্যা মামলা আর প্রাণের ভয়ে সেই ব্যবসায়ী শাহিন কবিরকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা প্রধান করেন। যার প্রমান এ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে। দাবীকৃত ২লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ী মাসুম আহমদের নামে পরপর ৪টি মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছেন তিনি শাহিন কবির।
সম্প্রতি শাহিনের অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে তিনি সিলেট এসএমপি পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সিকিউরিটি সেল, পুলিশের আইজিপি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে দায়ের করা ব্যবসায়ী মাসুমের অভিযোগ থেকে জানা যায়, মাসুম আহমদ সিলেট নগরীতে ব্যবসা করে আসার পাশাপাশি বিগত ২ বছর থেকে ভারত থেকে চোরাই পথে আসা বিভিন্ন থানা পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, ডিবি পুলিশ কতৃক আটক ভারতী পণ্য আদালতে তিনি সরকারি নিয়ম মাফিক নিলাম হলে তিনি সেই নিলামে অংশ নিয়ে চিনি,কসমেটিক,কাপড় অকশনে খরিদ করে পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করেন। অথচ এসব চোরাচালান থেকে শাহিন কবির মাত্র ১ বছরে প্রায় ৬/৭ কোটি টাকা চাঁদাবাজি করে হাতিয়ে নিয়েছেন। দুদক কিংবা পুলিশের যে কোন সংস্থা তদন্ত করলে শাহিনের আয়ের পরিমান বেরিয়ে আসবে। চোরাচালাণে শেল্টার দিলেও মাসুমের অকশন ব্যবসায় বাধা হয়ে দাড়ান এসআই শাহিন কবির। তিনি শাহপরাণ মাজার পুলিশ ফাঁড়ির আইসি থাকা অবস্থায় ১ বছরে ব্যবসায়ী মাসুমকে মিথ্যা মামলা ও হত্যার হুমকি দিয়ে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। মাসুম এসআই শাহিনকে চাঁদা না দিলে তিনি আদালতের নিলামের কাগজপত্র, অকশনের ছাড়পত্র থাকার পরও মাসুমের প্রতিটি গাড়ি থেকে ৭ হাজার করে চাঁদা নিতেন। চাঁদা আদায়ের রেকর্ডসহ প্রমানাধি প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে। এছাড়া নানা সময় এসএমপি নবাগত কমিশনার সহ বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তাও নামে মাসুমকে জিম্মি করে প্রতি মাসে আরো ১ লক্ষ টাকা চাঁদা নিতেন।
যাহার বিকাশ লেনদেনের প্রমান রয়েছে। সম্প্রতি ঈদুল ফিতরের সময় এসআই শাহিন কবিরকে চাঁদা দিতে না পারায় তিনি তাহার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ০১৮২৩-৮৫৫৫৭৮ ও ০১৭৫১-০৩০৫৯২ নাম্বার হতে ব্যবসায়ী মাসুমকে নানা রকম হুমকিসহ মিথ্যা মামলায় জড়ানোর চেষ্টায় লিপ্ত হন।এর ধারাবাহিকতায় গত ৪/৩/২০২৪ ইং তারিখে মাসুম আহমদ সিলেট চীফজুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর দেওয়া একটি নিলামে অংশ নিয়ে জৈন্তাপুর থানার মামলা নং-০৬ তারিখ ১৩/১/২০২৪ ইং জিআর-০৬/২৪ তারিখ ১৩/১/২০২৪ মামলামূলে আটক ২২৮ বস্তা চিনি অকশনে খরিদ করেন। যাহার আদালত স্বারক নং-১১৩৯(৩)(৩) তারিখ ৪/৩/২০২৪ ইং ক্রয় করে। ক্রয়কৃত চিনি তিনি ট্রাক যোগে জৈন্তাপুর থানা থেকে সিলেট শহরে নিয়ে আসার সময় ৬/৩/২০২৪ ইং শাহপরাণ থানা এলাকায় প্রবেশ করা মাত্রই সাদা পোশাকে থাকা এসআই শাহিন কবির গাড়ির গতিরোধ করেন। গাড়ি তল্লাসী করতে গেলে আদালতের নিলাম ও অকশনের সমূহ কাগজপত্র দেখাইলেও তিনি মালগুলো আটক করে মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন মাসুমকে। নতুবা তাকে বড় অংকের টাকা দিতে হবে বলে ঘুষ দাবী করেন শাহিন। বাধ্য হয়ে কোন উপান্তর না দেখে মাসুম মিথ্যা মামলার ভয়ে এসআই শাহিনকে দেড় লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে গাড়িটি ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন।যাহার প্রমানাধি ব্যবসায়ী মাসুম আহমদের কাছে রয়েছে। এসআই শাহিনের চাঁদাবাজীর ভয়ে মাসুম বিগত দেড় মাস থেকে অকশন ব্যবসা ছেড়ে দেন। এর ফাঁকে শাহপরাণ ফাঁড়িতে থেকে প্রশাসনিক কারণে নানা অভিযোগে শাহিনকে এসএমপির ডিবিতে বদলী করা হয়। ডিবিতে যোগদান করেই শাহিন কবির মাসুমের কাছে আবারও বড় অংকের টাকা চাঁদা দাবী করতে থাকেন। নতুবা তাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করবেন বলে হুমকি দিতে থাকেন।
মাসুম বিষয়টি এসএমপি উর্ধ্বতন অফিসারদের অবগত করেন। সম্প্রতি গত ১০/৪/২০২৪ ইং তারিখে এসআই শাহিন কবির ও পুলিশ পরিদর্শক বিশ্বজিত দেব মোগলাবাজার থানা এলাকার পারাইরচকে চিনি বুঝাই ৫টি গাড়ি আটক ৩টি গাড়ি আটক দেখিয়ে মামলা দায়ের করেন মোগলাবাজার থানায় এবং ২টি চিনি বোঝাই গাড়ি ঢাকা মেট্টো-ট-১৬-৬৫৪৬ উক্ত গাড়ির মালিক গোয়াইনঘাট থানার রাধনগর গ্রামের ইসলাম উদ্দিন, এবং যশোর-ট-১৮-৬৮৮৫ গাড়ির মালিক জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর বাজারের ব্যবসায়ী হেলাল আহমদ। এই দুজনের কাছ থেকে এসআই শাহিন কবির ও পরিদর্শক বিশ্বজিৎ দেব ৮ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে দুটি গাড়ি ছেড়ে দেন। খাজ নিয়ে জানা যায়, আটককৃত অপর তিনটি গাড়ি ঢাকা মেট্টো-ট-১৮-৯৪০৭, ঢাকা মেট্টো-ট-২০-৪০২৩ এই গাড়ির মালের মালিক হরিপুর এলাকার আব্দুর রশিদ, সালমান, আবুল হোসেন, আর অপর গাড়ি সাতক্ষিরা-টÑ১১-০৪৮১ গাড়ির মালের মালিক হরিপুর এলাকার তাজুল আহমদ।আটককৃত গাড়িগুলো মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের তত্ত¡াবধানে পরিচালিত হয়ে থাকে বলে অনুসন্ধানে জানা যায়, গাড়ি গুলো আটকের পর আটককৃত গাড়ির ড্রাইভারগণ মালসহ গাড়ির মালিদের নাম বলার পর এসআই শাহিন কবির ও বিশ্বজিৎ মাসুমের কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন, নতুবা তাকে আটেককৃত চিনির মামলায় মিথ্যা আসামী করা হবে।
সামুম আহমদ তাদের দাবীকৃত ৫লাখ টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করায় আটককৃত চিনির মামলায় ব্যবসায়ী মাসুম আহমদ ও তার ব্যবসায়ী পার্টনার সোহেল আহমদকে আসামী করেন এসআই শাহিন কবির ও পরিদর্শক বিশ্বজিত। যাহা গোলাবাজার থানার মামলা নং ১১/৫১ তারিখ ১০/৪/২০২৪ একই ঘটনায় পরের দিন আরেকটি মামলা করেন বিশ্বজিত যাহা মোগলাবাজার থানার মামলা নং ১২/৫২ তারিখ ১১/৪/২০২৪ইং। এছাড়া ২৪/৪/২০২৪ ইং তারিখে মাসুমের বিরুদ্ধে আরেকটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন এসআই শাহিন কবির যাহা মোগলাবাজার থানার মামলা নং ২৬/১১৬। এ মামলায় যে চিনির মালের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেই মালের মালিক পরিপুর এলাকার জুবায়ের আহমদ। মাসুম মামলা দায়েরের পরদিন জানতে পারেন তার বিরুদ্ধে শাহিন কবির ও বিশ্বজিৎ প্রতিহিংসামূলক দায়ের করেছেন শুধু টাকার জন্য। সূত্র জানায় উক্ত মামলায় মাসুমকে আসামী করার পাশাপাশি গাড়ি থেকে ৪৫ বস্তা চিনি ডিআই পিকাপে অন্যত্র বিক্রি করে দেন এসআই শাহিন কবির ও বিশ্বজিত। ফলে শাহিন কবিবের চাঁদাবাজীর প্রশানসহ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মাসুম আহমদ।
হয়রানীর স্বীকার মাসুম আহমদ বলেন, একমাত্র ডিবি ছাড়া পুলিশের যে কোন ইউনিট যদি মামলাগুলো তদন্ত করে তাহলে শাহিন কবির ও বিশ্বজিৎ দেব এর চাঁদাবাজীর বিষয়টি প্রমানিত হবে এবং তিনি মিথ্যা হয়রানী মূলক মামলা থেকে রেহাই পাবেন। এছাড়া এসআই শাহিন কবির সম্পর্কে অনুসন্ধান করে জানা যায়, শাহপরাণ মাজার পুণিশ ফাড়িতে থাকা অবস্থায় শাহিনের প্রতিদিনের ইনকাম ছিলো কয়েক লক্ষ টাকা। তিনি কমিশনার,ডিসি, ওসির নামে চোরাচালানীদের কাছ থেকে প্রতিটি গাড়ি থেকে টাকা আদায় করতেন। সূত্র জানায়, গত ১৩/৩/২৪ ইং রাত পৌনে ১১ টায় হরিপুর থেকে আসা চিনি ভর্তি একটি আটক করেন এসআই শাহিন কবির। গাড়িটি আটক করে দুই ঘন্টা পর মালিক হরিপুরের জয়নাল হাজারি নাম জনৈক ব্যক্তি এসে রাত আড়াটায় ৩ লক্ষ ৯০হাজার টাকার বিনিময়ে গাড়িটি ছেড়ে দেন। আটককৃত ট্রাক গাড়িটির নাম্বার ঢাকা মেট্রো-ট-১১-৬৯৮৪। এছাড়া গত ১/১/২৪ ইং হরিপুর থেকে পাথর ভর্তি একটি ট্রাক যার নাম্বার ঢাকা মেট্টো-ড ২২-৬৪২৯, ট্রাকের পর দেখা যায় উপরে পাথর নিচে ভারত থেকে চোরাই পথে আসা কসমেটিক্স, শাড়ি বটেশ্বর এলাকায় আসামাত্র আইসি এসআই শাহিন কবির গাড়িটি আটক করেন। ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে গাড়ি গুলো ছেড়ে দেন তিনি। পরে কৌশলে শাহিন কবির তাহার সুরমা গেইটের ডিউটি পার্টি দিয়ে আবার গাড়িটি আটক করেন।
পরে মামলার ভয় দেখিয়ে ৫ লক্ষ টাকা আদায় করেন এসআই শাহিন। ঐ গাড়ির মালের মালিক হরিপুর এলাকার সায়েম আহমদ। এছাড়া গত ৩/১১/২৩ ইং রাতে ঢাকা মেট্রো-ঢ-২০-৫২০৬ একটি ট্রাক আটক করেন এসআই শাহিন। গাড়িতে ইন্ডিয়ান কসমেটিক ছিলো হরিপুর থেকে বটেশ্বর এলাকায় আসামাত্র গাড়িটি আটক করে আইসি এসআই শাহীন কবির পরে মালের মালিক হরিপুরের সাহেদের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে গাড়িটি ছেড়ে দেন। গত ২৫/২/২৪,ইং রাত ২টায় হরিপুর থেকে আসা একটি ডিআই পিকআপ চিনি নিয়ে শহরে আসার পথে বটেশ্বর বোর্ড স্কুলের সামনে গাড়িটি আটক করেন ডিউটি পার্টি, পরে সেখানে আইসি শাহিন কবির আসেন, মালের মালিক হরিপুরের সাহেল মোল্লার ও কামরুল ৯০ হাজার টাকা দিয়ে গাড়িটি ছাড়িয়ে নেন। আটককৃত গাডির নাম্বার ঢাকা মেট্রো-১১-০৪৩১। এছাড়া প্রতিদিন লাইনম্যানের মাধ্যমে শহরে এবং শহরের বাহিরে এসআই শাহিনের সাথে কন্ট্রাক করে শত শত গাড়ি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতো। প্রতিটি গাড়ি থেকে ১৩ হাজার টাকা করে চাঁদা নিতেন শাহিন কবির। স্থানীয়রা জানান, মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে শাহিন কবির শহরতলীতে ৯০ লক্ষ টাকা দিয়ে ১২ শতক জমি খরিদ করেছেন। ব্যাংকে রয়েছে প্রায় ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা। একাধিক ভোক্তখোগীর সাথে আলাপকালে জানা যায়, এসআই শাহিন কবিরের বাড়ি সোনামগঞ্জ জেলায় তিনি সিলেট এমসি কলেজ থেকে লেখা পড়া করেছেন। অপর দিকে চাকরির সুবাধে আবার সিলেটে থাকা নগরীর বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে তার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। সেই সম্পর্ককে পুজি করে এসআই শাহিন কবির এখন এসএমপি পুলিশ বাহিনীর বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করা হলে প্রতিটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। কারণ প্রতিবেদকের কাছে প্রতিটি আটকের ছবি, মালের মালিকের মোবাইল নাম্বার সংরক্ষিত রয়েছে।
এ বিষয়ে জান চাইলে দক্ষিণ জোনের ডিসি সোহেল রেজা বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের পেয়ে সত্যতা পাওয়ার পর প্রশাসনিক কারণে তাকে বদলী করা হয়েছে। এখন ডিবিতে গিয়ে সে আকাম-কুকাম করলে এর দায় ডিবির উপরে পড়বে। সঠিক তদন্ত হলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। কমিশনার মহোদয়ের সাথে আলাপ করে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে।