সিলেটে এসেই গ্রেফতার হয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির। শনিবার বিকেল ৩টায় ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালী পুলিশ। পরে আদালতের জামিননামা জমা দেওয়ার পর সন্ধ্যায় তিনি থানা থেকে মুক্ত হন।
কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, ২০১৮ সালের একটি মামলার গ্রেফতারি পরওয়ানা ছিল খন্দকার মুক্তাদিরের। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তিনি জামিনের কাগজপত্র উপস্থান করলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
জানা যায়, ১০ দফা দাবিতে বিএনপি ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিতে শনিবার বিকেল ৩টার দিকে সিলেট আসেন খন্দকার মুক্তাদির। ওসমানী বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী জানান, ২০১৮ সালের যে মামলায় খন্দকার মুক্তাদিরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু ওই মামলায় আদালত থেকে মুক্তাদির জামিনে ছিলেন। কিন্তু কোন কারণে আদালত থেকে ‘রি-কল’ না আসায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। পরে সন্ধ্যায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থান পরিবর্তন করে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি : ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সিলেট মহানগর বিএনপি। তবে পূর্ব নির্ধারিত স্থানে তারা কর্মসূচি পালন করতে পারেনি। পুলিশের বাঁধার মুখে কর্মসূচিস্থল পরিবর্তন করতে হয়েছে।
বিএনপি নেতারা জানান, সিলেট মহানগরীর পাঠানটুলা, সোবহানীঘাট আগ্রা সেন্টার ও উপশহর এবিসি পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু গতকাল শনিবার বেলা ২টায় কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশ পাঠানটুলা ও উপশহর এবিসি পয়েন্টে বাধা দেয়। বাধার মুখে বিএনপি নেতারা পাঠানটুলায় একটি কমিউনিটি সেন্টার ও উপশহরের একটি স্কুল মাঠে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব প্রমুখ।