সিলেটে চালের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সব মানের চালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৪-৫ টাকা, ৫০ কেজির প্রতি বস্তায় ১০০-১৫০ টাকা বেড়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
সরকারি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী- চলতি বছরের জুনে কৃষকরা বোরোতে ভালো ফলন পেয়েছেন। সুতরাং চলমান সময়ে চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকার কথা। কিন্তু তা সত্ত্বেও দাম বাড়ছে।
এদিকে, চালের দাম বৃদ্ধি নিয়ে খুচরা বিক্রেতারা পাইকারদের দোষারোপ করছেন। আর পাইকাররা দোষারোপ করছেন মিল মালিকদের।
তবে গত বোরো ও আমন ফসলে ধানের ফলন ভালো হয়েছে, তারপরও চালের দাম কেন বাড়লো এ নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
অন্যদিকে মিল মালিকরা বলছেন- সিলেট বিভাগের ৩টি জেলাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার মধ্যে কৃষকরা উচ্চমূল্যের আশায় ধানের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে আমরাও পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
সিলেট মহানগরের তালতলা এলাকার বাসিন্দা শাহেদ আলম নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন- দেশব্যাপী চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহে এমনিতেই লড়াই করতে হচ্ছে। এর মাঝে মরার উপর খাঁড়ার ঘা’র মতো বাড়লো চালের দাম। আমাদের মতো নিম্ন বা নিম্ন-মধ্যবিত্তের কী হাল হবে? ক্ষমতার পালাবদলের পর আমরা জনসাধারণের দৃঢ় আশা- চাল-ডালসহ নিত্যপণ্যের দাম বর্তমান নির্দলীয় সরকার আমাদের ক্রয়ক্ষমতার আওতায় নিয়ে আসবেন।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার চালের বড় পাইকারি বিক্রেতা জয়নাল আবেদিন বলেন- বন্যা পরিস্থিতিতে চাল সরবরাহ কিছুটা কম থাকায় দামও কিছুটা বেড়েছে। আগামী কিছু দিন দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।